মেখলিগঞ্জ: মধ্যরাতে মেখলিগঞ্জ খাদ্য সরবরাহ দপ্তরে আলো! চোর ভেবে পুলিশকে খবর দিলেন স্থানীয়রা। এদিকে পরেশচন্দ্র অধিকারীর দুর্নীতি সংক্রান্ত কোনও নথি সরাতে এত রাতে আধিকারিকরা দপ্তরে নয়তো? এই আশঙ্কা প্রকাশ করেন এলাকার বিজেপি নেতৃত্ব।
সাধারণত বিকালের দিকেই বন্ধ হয়ে যায় খাদ্য সরবরাহ দপ্তর। কিন্তু শুক্রবার রাতে স্থানীয়দের নজরে আসে অফিসের ভেতর আলো জ্বলছে। কয়েকজন সামনে গিয়ে দেখেন ভেতরে কেউ বা কারা উপস্থিত রয়েছে। এরপর স্থানীয়রা মেখলিগঞ্জ (Mekhliganj) থানার পুলিশকে খবর দেন। বিক্ষোভ শুরু হয়। এদিকে মধ্যরাতে কী চলছিল দপ্তরের ভেতর? কোনও নথি সেখান থেকে সরানো হচ্ছিল নাতো, এই নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়। বিজেপি নেতা আশেকার রহমান বলেন, ‘সাধারণ মানুষের কাজের সময় হয়রানি হয়। অন্যদিন অফিসে আধিকারিক থেকে কর্মী পাওয়া যায় না। অথচ মধ্যরাতে আলো জ্বালিয়ে কী চলছিল তবে? কোনও গোপন নথি সরাতেই দরজা বন্ধ করে মধ্যরাতে কাজ চলছিল নাতো!’ তিনি আরও বলেন, ‘পরেশচন্দ্র অধিকারী বাম আমলে খাদ্য দপ্তরের মন্ত্রী ছিলেন। অনেক ভুয়ো র্যাশন কার্ড সহ চাকরি দিয়েছেন। সেই সমস্ত নথি সরাতে হয়তো মধ্যরাতেও অফিস খোলা রয়েছে।’ অন্যদিকে খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছায় পুলিশ। এনিয়ে খাদ্য দপ্তরে এক আধিকারিককে জিজ্ঞাসা করা হলেও তাঁর কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। জানা গিয়েছে, পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের তিনি জানান, বিশেষ কাজ ছিল। এদিনের মধ্যে রিপোর্ট পাঠাতে হবে, তাই অফিস খোলা রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন : উপসমিতি গঠনের দিনই প্রকাশ্যে রাজ্য শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দল