অনলাইন ডেস্ক: কাশ্মীরে জঙ্গি হামলায় শহিদ বাংলার জওয়ানের দেহ রাজ্যে আসছে আজ। তার আগে এদিন সকালে শহিদ জওয়ান শ্যামলকুমার দেকে সিআরপিএফের তরফে শ্রদ্ধা জানাল হল। তাঁর মরদেহে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন আধিকারিকরা।
শুক্রবার জম্মু কাশ্মীরের অনন্তনাগে জঙ্গি হামলায় শহিদ হন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সবং থানার ডাঁডরা গ্রাম পঞ্চায়েতের সিংপুর গ্রামের বাসিন্দা শ্যামলকুমার দে (২৭)। ২০১৫ সালে সিআরপিএফে যোগদান করেন তিনি।
গতকাল অনন্তনাগের বিজবেহারাতে সিআরপিএফের একটি দলের ওপরে হামলা চালায় জঙ্গিরা৷ জঙ্গি হামলায় গুরুতর আহত হন শ্যামল ও স্থানীয় এক শিশু। বিজবেহারা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা দুজনকেই মৃত বলে ঘোষণা করেন।
Budgam: Wreath laying ceremony of Central Reserve Police Force (CRPF) jawan who lost his life yesterday in a terrorists attack on a CRPF party deployed in highway security in Bijbehara, Anantnag. #JammuAndKashmir pic.twitter.com/PXd6o3lmaF
— ANI (@ANI) June 27, 2020
গতকাল দুপুরে পরিবারের একমাত্র ছেলের মৃত্যুর খবর আসতেই পরিবারে শোকের ছায়া নেমে আসে। শ্যামলবাবুর বাবা বাদল দে প্রায় বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন। মা শিবানী দে জ্ঞান হারাচ্ছেন। বাদলবাবু গতকাল জানান, সকালেই ছেলের সঙ্গে ফোনে কথা হয়। তবে দুুপুরে ফোন করে আর সাড়া পাননি। সিআরপিএফের এক কম্যান্ডার ফোন করে খবরটা দেন।
মাস দু’য়েক পরেই তাঁর বিয়ে হওয়ার কথা ছিল৷ বিয়ে উপলক্ষে নতুন বাড়ি তৈরির কাজও চলছিল৷ ডিসেম্বরে ছুটি বাড়ি এসেছিলেন তিনি। জওয়ানের মৃত্যুর খবর পেয়ে গতকাল তাঁর বাড়িতে যান তৃণমূল সাংসদ মানস ভুঁইয়া, সবংয়ের বিধায়ক গীতা ভুঁইয়া, বিডিও অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, সবং থানার ওসি-সহ অন্যান্যরা।
মানসবাবু জানান, শহিদ জওয়ানের জন্য গোটা সবংবাসী গর্বিত৷ সরকার এবং দল নিহত জওয়ানের পরিবারের পাশে থাকবে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খড়গপুর) কাজি সামসুদ্দিন আহমেদ জানান, শনিবার জওয়ানের দেহ গ্রামে পৌঁছাবে। রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্যের প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ১৫ জুন পূর্ব লাদাখের গালওয়ান ভ্যালিতে চিনা সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় জওয়ান শহিদ হন। তাঁদের মধ্যে বাংলার ২ জওয়ানও রয়েছেন। বাংলার শহীদ ২ জওয়ানের একজন বীরভূম জেলার মহম্মদবাজার থানার ভূতুড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের রাজেশ ওঁরাং। আরেকজন আলিপুরদুয়ার জেলার টটপাড়া-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের বিন্দিপাড়ার বিপুল রায়।