দেবদর্শন চন্দ, কোচবিহার: লকডাউনের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফুলের বাজার খোলার অনুমতি দিলেও সংক্রমণ ছড়ানোর ভয়ে ফুলের ব্যবসা বন্ধ রাখলেন কোচবিহারের ফুল ব্যবসায়ীরা।
তারা জানান, পরিবহন ব্যবস্থা বন্ধ থাকায় শহরে ফুলের পর্যাপ্ত যোগান নেই। অপরদিকে, বেলা ১১টার পর রাস্তাঘাটে লোক তেমন বের হয় না। এতে স্বভাবতই ফুলের ব্যবসায় মার খাওয়ার আশঙ্কা থেকেই যায়। এদিকে দোকানের পাশেই রয়েছে কোচবিহার সরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল। সেখানে বিভিন্ন জায়গার মানুষের সমাগম হয়। এতে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা। এইসব বিভিন্ন কারণে কোচবিহার শহরে ফুলের ব্যবসা বন্ধ রাখা হয়েছে।
কোচবিহার শহরে প্রায় কুড়িটি ফুলের দোকান রয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন বাজারে ছোটো ব্যবসায়ীরা পুজোর ফুল নিয়ে বসেন। জানা গিয়েছে, কোচবিহার ফুলের চাহিদা থাকলেও বিশেষত কলকাতা থেকেই সেইসব ফুল আনা হয়। বর্তমানে লকডাউন চলাকালীন পরিবহন বন্ধ থাকায় বাইরে থেকে সেভাবে ফুল আসছে না।
ফুল ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, এত দাম দিয়ে ফুল কেনার পর রাখবার পর্যাপ্ত পরিকাঠামো না থাকায় সেসব ফুল নষ্ট হবে। লকডাউন থাকায় ক্রেতার দর্শন সেভাবে মেলা ভার। এতে আখেরে পুরো টাকাটাই নষ্ট হচ্ছে তাদের। সেসব কারণেই ব্যবসা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শহরের ফুল ব্যবসায়িরা।
জেলা ফুল ব্যবসায়ী সমিতির তরফে নীরেন দেব বলেন, ‘পরিবহন বন্ধ থাকায় ফুল আসছে না। ফুল না আসলে কী করে দোকান খুলব? বড়ো ঝুড়িগুলি নিয়ে আসার লোকও নেই। সাধারণত কলকাতা থেকেই আমাদের ফুল আসে। এছাড়া, রাস্তাঘাটে মানুষ চলাচল কম করছে। লোক না আসায় ফুল তুললেও তা নষ্ট হবে। বাজারে বাজারে কয়েকজন ব্যবসায়ী ফুল বিক্রি করছে। ফলে পুজোর ফুল নিয়ে শহরবাসীর অসুবিধা নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘হাসপাতাল লাগোয়া দোকান হওয়ায় সারাদিন বহু মানুষদের সমাগম হয়। এক্ষেত্রে সংক্রমণের ভয়তো থেকেই যায়। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পর একদিন দোকান খুললেও বিক্রি না হওয়ায় বাধ্য হয়ে আমরা দোকান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’