নাগরাকাটা: জঙ্গলের ধারের নালায় পড়ে গিয়ে কাদা মাটিতে আটিকে যাওয়া এক হস্তীশাবককে তৎপরতার সঙ্গে উদ্ধার করল বন দপ্তরের কুমানি বিটের কর্মীরা।
বিট অফিসার বিজয় গুরুংবের নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৫টা থেকে সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত টানা দু ঘন্টার ওই রোমহর্ষক অপারেশন চলে। বন দপ্তরের বন্যপ্রাণ শাখার খুনিয়া রেঞ্জের রেঞ্জার রাজকুমার লায়েক বলেন, কুমানি বিট দারুন কাজ করেছে। আমাদের ওরা খবর দিলেও দূরত্বজনিত কারণে সেখানে পৌঁছোতে সময় লেগেছিল। যেতে যেতে মোবাইলেই যেমন পরামর্শ দিয়েছিলাম হুবহু সেটাই ওরা মেনে শাবকটিতে বিপদমুক্ত করেছে। নালা থেকে উদ্ধার করার পর বছর তিনেকের শাবকটি পালের অন্য হাতিদের সঙ্গে মিশে জঙ্গলের গভীরে ঢুকে যায়।
বন দপ্তর ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কালিম্পং ডিভিশনের জলঢাকা রেঞ্জের অন্তর্গত কুমানির জঙ্গল থেকে বুধবার রাতে হাতির একটি দল পাশের কুপিস বস্তীতে প্রবেশ করে। ভোরে ফের জঙ্গলে প্রবেশের সময় ১০০ দিনের কাজের মাধ্যমে ওই বনবস্তী ও কুমানির জঙ্গলের সীমায় তৈরি করা নালার মধ্যে পুরুষ শাবকটি পড়ে যায়।
বৃষ্টির কারণে কাঁচা নালাটির কাদায় আটকে হস্তীশাবকটি মূমুর্ষু হয়ে পড়ে। নিয়মমাফিক ভোরবেলা জঙ্গল টহল গিয়ে বিট অফিসার সহ অন্য বনকর্মীরার হাতিটিকে দেখতে পান। তাঁরা বিষয়টা জানায় খুনিয়া রেঞ্জকে। তার আগের আর্থ মুভার যোগাড় করে শাবকটি যেখানে ফেঁসেছিল, তার পাশেই শুরু হয় গর্ত খোঁড়ার কাজ।
ঢালু স্লোপ তৈরি করে আর্থমুভার দিয়ে শাবকটিকে আলতো করে ঠেলা দিয়ে হাতিটিকেকে সেখান থেকে ওঠানো হয়। তবে কাজটি সহজ ছিল না। কারণ বনকর্তারা জানাচ্ছেন, আর্থমুভার দিয়ে খোড়া মাটি শাবকের শরীরের ওপর পড়লে সেটির চাপা পড়ার আশঙ্কা ছিল। পাশাপাশি সতর্ক থাকতে হয়েছিল মানুষের স্পর্শ যেন শাবকের শরীরে কোনভাবেই না পড়ে।