চাঁচল: ‘জল ধরো জল ভরো’ প্রকল্পের আওতায় এলাকার পুকুরগুলিতে বৃষ্টির জল সংরক্ষণ করে চাষের চিন্তাভাবনা নিয়েছে প্রশাসন। জানা গিয়েছে, চাঁচল-১ ব্লকের মতিহারপুর পঞ্চায়েত এলাকার খানপুর, হুলাসপুর, মালচা ও নরসিংহপুর মৌজার চাষিদের এই জল সমস্যা কয়েক দশকের। তাই বৃহস্পতিবার চাঁচল জলসেচ দপ্তরের সহকারী ইঞ্জিনিয়ার মহম্মদ সেলিম ওই এলাকাগুলি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে যান। কীভাবে জল নিকাশ ও সংরক্ষণ করা যায় গোটা দিন এলাকার খুঁটিনাটি খতিয়ে দেখেন দপ্তরের কর্মীরা। সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখে জল সংরক্ষণের জন্য এলাকার তিনটি বড় পুকুর নির্ণয় করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে রিপোর্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে পাঠানো হচ্ছে। “জল ধরো জল ভরো” প্রকল্পের মাধ্যমে বেহাল ক্যানেল গুলো সংস্কারের জন্য রিপোর্ট পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন চাঁচল জলসেচ দপ্তরের সহকারী ইঞ্জিনিয়ার মহম্মদ সেলিম।
কৃষিক্ষেত্রে চাষিদের সুবিধার জন্য জমির জল নিকাশ করে এলাকার পুকুরগুলিতে জল সংরক্ষণ করার উপায় বের করেন প্রশাসনিক কর্তারাও। এলাকার বেশ কয়েকটি পুকুরে বৃষ্টির জল সংরক্ষণ করা হবে এবং তা পরবর্তী চাষের কাজেও লাগবে।রাজ্য সরকারের “জল ধরো জল ভরো” প্রকল্পে কাজ শুরু হলে প্রাণে বাঁচবে এলাকার হাজার হাজার কৃষক।
এলাকার কৃষক সাহিদ আক্তার ও আব্দুল মান্নানরা জানালেন, কয়েকদশক ধরে তাঁরা তীব্র জল যন্ত্রণায় ভুগছে। অবশেষে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে তা ঘুচতে চলেছে। তাঁরা বেজায় খুশি।