ফাঁসিদেওয়া: তরাই এবং ডুয়ার্স এলাকায় আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় এখনও জীবিকা চা বাগান নির্ভর। কিন্তু, বিভিন্ন সময় চা বাগানের জমি এবং আদিবাসীদের জমির চরিত্র বদলে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এনিয়েই মুখ খুললেন রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ এবং আদিবাসী উন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী বুলু চিকবড়াইক। কোনওভাবেই আদিবাসীদের জমি নিয়ে কারবার করা যাবে না সাফ জানান মন্ত্রী।
বুলু চিকবড়াইকের কথায়, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী আদিবাসীদের জমি কেউ কিনতে পারেন না। যদি জোর জবরদস্তি আদিবাসীদের জমি বিক্রি কিংবা হস্তান্তরের মতো অভিযোগ ওঠে, তবে এমন ঘটনা বরদাস্ত করা হবে না। প্রশাসনিকভাবে আইনি পদক্ষপ গ্রহণ করা হবে বলে তিনি মন্তব্য করেছেন। রবিবার রাজ্য সরকারে আদিবাসী উন্নয়ন বিভাগ ফাঁসিদেওয়াতে টি অ্যান্ড ট্রাইব্যাল ফেস্টিভ্যালে হাজির হয়ে একথা জানিয়েছেন বুলু চিকবড়াইক।
সোমবার হাঁসখোয়া চা বাগানের টুনা ডিভিশনের মাঠ থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা করা হয়। সেটি হাঁসখোয়া ফুটবল মাঠে গিয়ে শেষ হয়। এদিন ৫ জনকে অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে জয়জহর সহ বেশকিছু প্রকল্পের শংসাপত্র তুলে দেওয়া হয়েছে। ৩ দিনব্যাপী এই উৎসব চলবে বলে প্রশাসনিক সূত্রের খবর। বিভিন্ন জেলা থেকে আদিবাসী শিল্পীরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন। মূলত উত্তরবঙ্গের চা বাগান অধ্যুষিত এলাকা আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, দার্জিলিং থেকে সাংস্কৃতিক দল আসবে।
এছাড়াও, আদিবাসীদের জন্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা দিতে ১৬টি স্টল ডিসপ্লে করা হয়েছে। এদিন মন্ত্রী সেই সমস্ত স্টল পরিদর্শন করেন। ওই সমস্ত স্টল থেকে বিভিন্ন প্রকল্পে উপভোক্তারা সমস্ত প্রকল্পে আবেদন করা যাবে বলে অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে। এছাড়াও তীরন্দাজ, ফুটবল, ভলিবল খেলার পাশাপাশি, সোমবার আদিবাসীদের ফ্যাশন শোয়ের আয়োজন করা হয়েছে। উৎসবের শেষদিন মঙ্গলবার বাইরের জেলা থেকে শিল্পীরা আসবেন।
এদিন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি তথা মন্ত্রী মঞ্চ থেকে আদিবাসী উন্নয়ন দপ্তর নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেন। আদিবাসীদের জন্য তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়া আর কোনও রাজনৈতিক দলই কিছু করেনি তা তাঁর বক্তব্যে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করেছেন। ২০১১ সালের আগে আদিবাসীদের জন্য কোনও দপ্তরের ছিল না। রাজ্যের সরকার পরিবর্তনের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদিবাসী বিকাশ এবং সংস্কৃতি নিয়ে চিন্তাভাবনা থেকেই ২০১৩ সালে তা তৈরি করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
মন্ত্রীর কথায়, ওই দপ্তর থেকেই এই অনুষ্ঠান করা হচ্ছে। আগে আদিবাসীরা সার্টিফিকেট পেতেন না, এখন তৃণমূল কংগ্রেসের সরকারের ভাবনা থেকেই তা সহজেই পাওয়া যাচ্ছে বলে দাবি করেন বুলু চিকবড়াইক। এদিন প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের পর বক্তব্য রাখেন উপস্থিত বিশিষ্টরা। মন্ত্রী ছাড়াও দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক এস পুন্নমবলম, শিলিগুড়ির মহকুমাশাসক প্রিয়াংকা সিং, ফাঁসিদেওয়ার বিডিও সঞ্জু গুহ মজুমদার, শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের সভাধিপতি অরুণ ঘোষ, সহসভাধিপতি রোমারেশমি এক্কা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
লেটেস্ট খবর জানার জন্য দেখুন www.uttarbangasambad.com এবং ব্রেকিং নিউজ (Breaking News) এবং ডেইলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন উত্তরবঙ্গ সংবাদ টিভিতে ।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Instagram পেজ
আরও পড়ুন : চরম ব্যস্ততা কুমারটুলিতে, সরস্বতী মূর্তি বানিয়ে লক্ষ্মীলাভের আশায় মৃৎশিল্পীরা