উত্তরবঙ্গ ব্যুরো: চোপড়া বিধানসভা এলাকায় বুধবারেই পৌঁছেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। পরবর্তীতে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে এলাকায় শুরু হয়েছে রুটমার্চ। এদিন হাপতিয়াগছ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় রুটমার্চ করেন বাহিনীর একটি দল। বিকেলে সোনাপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় রুটমার্চ করার কথা রয়েছে। চোপড়া থানার আইসি বিনোদ গজমের বলেন, এলাকায় রুট মার্চ শুরু হয়েছে। বাহিনীতে ১০০ জনের উপরে রয়েছেন। চোপড়া কর্মতীর্থ ভবনে তাঁদের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এলাকাভিত্তিক নির্দিষ্ট দিনে রুটিন মাফিক রুটমার্চ চলবে। রুটমার্চের সময় সঙ্গে পুলিশ আধিকারিকেরাও থাকছেন। রুটমার্চের পাশাপাশি এলাকার মানুষদের সঙ্গে কথা বলেও কোন রকম সমস্যা বা অভিযোগ রয়েছে কিনা সেসব শুনে নেওয়া হচ্ছে।
অন্যদিকে, রায়গঞ্জ শহরে এসে পৌঁছল কেন্দ্রীয় বাহিনী। এদিন সকালে রায়গঞ্জ শহরে রুটমার্চ শুরু করেন তাঁরা। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন রায়গঞ্জ থানার আইসি সুরজ থাপা ও থানার অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকেরা। সমগ্র রায়গঞ্জ শহর এবং ভাটোল এলাকায় এদিন রুটমার্চ চলে। সারা রাজ্যের সঙ্গে উত্তর দিনাজপুর জেলার ৯ টি বিধানসভা কেন্দ্রে নির্বিঘ্নে নির্বাচনের কাজ পরিচালনা করতে চলে এসেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। জেলায় ইতিমধ্যেই ৪ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পৌঁছে গিয়েছে। রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার সুমিত কুমার বলেন, ‘আজ থেকে রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার অধীনে সমস্ত থানা এলাকায় রুটমার্চ শুরু হল। বিধানসভা নির্বাচন পর্যন্ত এই মার্চ চলবে। সকাল ও বিকাল দুইবেলা মূল সড়ক ও অলিগলিতে বাহিনী যেমন ঢুকবে, তেমনি বিগত নির্বাচনে যেসব বুথ এলাকার বাজে রেকর্ড রয়েছে ও যেখানে অশান্তি হয়েছে সেখানে বাহিনী অবশ্যই ঢুকবে।’ জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় পাঁচ হাজার লোকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি ছিল। ইতিমধ্যেই চার হাজার আসামি ধরে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এখনও এক হাজার ফেরার রয়েছে। তাদের খোঁজে নিয়মিত তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলে জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
পাশাপাশি মালদার বামনগোলা ব্লকের আশ্রমপুর,মরাঘাটি,খাকারিপাড়া,শান্তিপাড়া, সালালপুর,কাংসা সহ পাকুয়াহাটের বিভিন্ন এলাকায় রুটমার্চ করে কেন্দ্রীয় বাহিনী। রুট মার্চে সঙ্গে ছিলেন বামনগোলা থানার পাকুয়াহাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ অজয় চৌধুরি সহ অন্যান্য পুলিশ অফিসাররা। যাতে সাধারণ মানুষজন নির্ভয়ে ভোট দিতে পারেন সেই জন্যই এই রুটমার্চ বলে জানা গিয়েছে। এদিন বিভিন্ন এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সাথে নিয়ে পুলিশ অফিসাররা সাধারণ মানুষজনের সঙ্গে কথা বলেন। নির্ভয়ে ভোট দেওয়ার আশ্বাস দেন।
পুরাতন মালদার মহিষবাথানি অঞ্চলের আদিনা হিমঘর, বেলাহার, গোয়ালপাড়া এবং সঞ্জইল বিভিন্ন এলাকায় কেন্দ্রীয় আধাসামরিক বাহিনী রুটমার্চ করেন। ভোটারদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘কোনও রাজনৈতিক দলের নেতাদের দ্বারা প্রভাবিত না হন এবং সাধারণ ভোটাররা যাতে অবাধে ভোট দিতে পারেন। ভোটারদের প্রতি আরও বলা হয় কোন রাজনৈতিক দল যদি কোন ধরনের ভীতি প্রদর্শন করে। তবে, তৎক্ষণাৎ পুলিশ প্রশাসন ও ব্লক প্রশাসনকে জানানো হয়। এই রুটমার্চে প্রথম সারিতে ছিলেন মালদা থানার আইসি হীরক বিশ্বাস এছাড়া একটি কোম্পানির কেন্দ্রীয় আধাসামরিক বাহিনী।বিশেষ সূত্রে জানা যায় স্পর্শ কাতর বুথ গুলিতে রুটমার্চ শুরু হয়েছে।