বুনিয়াদপুরঃ বংশীহারী(Banshihari) অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের উপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে অন্য দপ্তরের কাজের বোঝা। আর এর ফলেই ক্ষোভের সঞ্চার হচ্ছে কর্মীদের মধ্যে। কর্মীদের অভিযোগ, প্রতিটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে সকাল আটটা থেকে বারোটা পর্যন্ত কেন্দ্র পরিচালনার পর ১১ ধরনের রেজিস্টার মেইনটেইন করে নতুন মোবাইল অ্যাপসে ট্র্যাকারের কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে হয়। তারপর শারীরিক ও মানসিকভাবে ক্লান্ত হয়ে পড়েন তারা। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কাজের পরেও তাদের অনেক খাতা পত্রের কাজও করতে হয়। এতদিন তারা ১১ টি রেজিস্টার এর কাজ করে থাকলেও সম্প্রতি পোষণ ট্রাকার অ্যাপস এর মাধ্যমে অনলাইনে বিভিন্ন তথ্য আপলোড করতে হচ্ছে প্রতিদিন। এছাড়াও গর্ভবতী মা ও শিশুদের টিকাকরণ, স্বাস্থ্য পরীক্ষা, শিশুদের নিয়মিত বৃদ্ধির তদারকি, স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও পরিচ্ছন্নতা বিষয়ে পরামর্শদান, অসুস্থ শিশু, মায়েদের স্বাস্থ্য কেন্দ্রে প্রেরণ, কিশোরী মেয়েদের মাসে একাধিকবার সচেতনতার মিটিং কেন্দ্রের কর্মীদের করতে হয়। এরপরেও গোদের ওপর বিষফোঁড়া। মাঝেমধ্যে কর্মীদের উপর সরকারের অন্যান্য বিভিন্ন দপ্তরের সার্ভের কাজ তাদের দিয়ে করানো হচ্ছে বলে অভিযোগ।
ইতিপূর্বে স্বচ্ছ ভারত মিশন, প্রতিবন্ধী, বিধবা ভাতা, দুয়ারে সরকার, স্বাস্থ্যসাথী, লক্ষীর ভান্ডার, খাদ্য দপ্তরের সার্ভে সহ বিভিন্ন কাজ করেছেন। অন্যান্য দপ্তরের সার্ভে কাজের বিষয়ে সুসংহত শিশু বিকাশ সেবা প্রকল্পের আধিকারিকের সঙ্গে বহুবার লিখিত ও মৌখিকভাবে জানিয়ে কোন লাভ হয়নি বলে অভিযোগ। বাধ্য হয়ে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন।
এ বিষয়ে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী দীপান্বিতা রায় বলেন, আমরা কেন্দ্র পরিচালনা করার পর নতুন পোষণ ট্র্যাকার অ্যাপ সহ ১১ টি রেজিস্টার এর কাজ করতে দিনের বেশিরভাগ সময় কেটে যায়। এছাড়াও প্রতিনিয়ত সুপারভাইজারদের মোবাইল গ্রুপে কেন্দ্র সংক্রান্ত ছবি সহ বিভিন্ন তথ্য ও পরিসংখ্যান তুলে দিতে হয়। এমতাবস্থায় অন্য দপ্তরের সার্ভের কাজ করা সম্ভব নয়। এ বিষয়ে বংশীহারী সুসংহত শিশু বিকাশ সেবা প্রকল্প আধিকারিক মেঘনাথ মিস্ত্রি বলেন, কর্মীদের সমস্যার কথা শুনেছি। বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ‘সরকারী প্রকল্পের জন্য নেতারা টাকা চাইলে পুলিশে এফআইআর করুন’, জনতাকে নিদান উদয়নের