চালসা: নিজেদের পকেটের টাকায় মেটেলি ব্লকের সাতখাইয়া টিজি প্রাথমিক বিদ্যালয় সাজিয়ে তুললেন শিক্ষকরা। বিদ্যালয় খুললে যাতে পড়ুয়ারা বিদ্যালয়ের প্রতি আকৃষ্ট হয় তার জন্যই এই উদ্যোগ। দীর্ঘদিন থেকে করোনার প্রকোপে বন্ধ ছিল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি। যার ফলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির অবস্থা হয়ে পড়েছিল খুবই খারাপ। মাঝেমধ্যে মিড ডে মিলে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করার জন্য স্কুলে আসতে হয় শিক্ষক শিক্ষিকাদের। তবে সেভাবে স্কুল পরিচর্যা হত না। গত ১৬ নভেম্বর থেকে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি স্কুল খুলে গিয়েছে। স্কুল খোলার বিজ্ঞপ্তি বের হতেই স্কুল পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার কাজে হাত লাগান স্কুল কর্তৃপক্ষ। সেই সময় বিভিন্ন স্কুলের জরাজীর্ণ ছবি উঠে আসে। দীর্ঘদিন থেকে পরিচর্যার অভাবে স্কুলের ভেতরে জন্ম নেয় আগাছা। বিভিন্ন পোকামাকড় বাসা বাঁধে স্কুলের শ্রেণিকক্ষের ভিতর। পড়ুয়াদের স্কুলের প্রতি আগ্রহ বাড়াতে বিভিন্ন রঙে রাঙিয়ে তোলা হয়েছে স্কুল চত্বর। সেই সঙ্গে স্কুলের দেওয়ালে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বিভিন্ন কার্টুন চরিত্র। এমনকি লোহার নেট দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে স্কুলের সীমানা। লাগানো হয়েছে ফুল বাগান। এইসব করতে গিয়ে কোনও সরকারি অনুদান বা সাহায্যের উপর ভরসা করেন নি স্কুলের শিক্ষকরা। নিজেদের তাগিদে নিজেদের কর্মস্থলকে সুন্দর করে সাজিয়ে তোলার লক্ষ্যেই তাদের এই উদ্যোগ। যেহেতু দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ ছিল সেই সুযোগেই ধীরে ধীরে সাজানো হয়েছে স্কুল। এই স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ১৯১ জন। স্কুলের প্রধান শিক্ষক রামধোনি পাসওয়ান বলেন, ‘নিজেদের পকেটের টাকা দিয়েই সম্পূর্ণ স্কুল সাজানো হয়েছে। স্কুল খোলার পর যাতে বিদ্যালয়ের প্রতি পড়ুয়াদের আগ্রহ বাড়ে ও তারা স্কুলমুখী হয় তার জন্যই এই উদ্যোগ। এখনও আমাদের কোনও অফিস ঘর নেই। এছাড়াও বেশ কিছু সমস্যা আছে। সরকারিভাবে সেগুলো করা হলে ভালো হয়।‘
রাজ্যে করোনার হানায় আক্রান্ত কলকাতা মেডিকেল কলেজের একাধিক পড়ুয়া
ডিজিটাল ডেস্ক : করোনা (Corona) আবার তার থাবা চওড়া করতে শুরু করেছে। শুক্রবারের পর শনিবার কলকাতা মেডিকেল কলেজের চারজন পড়ুয়ার...
Read more