হরিশ্চন্দ্রপুর: যেখানে মহিলা মুখ্যমন্ত্রীকে সামনে রেখে বাংলা নিজের মেয়েকে চাই এই শ্লোগান দিয়ে রাজ্যে নতুন তৃণমূল সরকারকে ক্ষমতায় নিয়ে এসেছে সেখানেই মেয়েদের আত্মসম্মান ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে। এমনটাই চিত্র ধরা পড়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার তুলসিহাটা এলাকায়। যেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শাসকদলের শ্রমিক সংগঠনের রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি সম্বলিত শাসকদলের হোর্ডিং টাঙ্গিয়ে তুলসিহাটা বাসস্ট্যান্ডের মহিলা শৌচালয়ের প্রবেশ পথে রমরমিয়ে চলছে শাসকদলের অটো ড্রাইভার ইউনিয়নের পার্টি অফিস। ওই হোডিং-এ আবার শ্রমিক সংগঠনের শাসকদলের জেলা সভাপতি শুভদীপ সান্যালের নাম বড় বড় হরফে রয়েছে। শৌচালয়ের সামনেই বসে থাকছেন শাসক দলের অটোচালক ইউনিয়নের নেতারা। ফলে তুলসিহাটা বাসস্ট্যান্ডে এসে শৌচালয় যেতে সংকোচবোধ করছেন এলাকারই মহিলা যাত্রীরা। ঘটনায় ক্ষোভ দানা বাঁধতে শুরু করেছে তুলসিহাটা এলাকায়। ক্ষুব্ধ তুলসিহাটার সাধারণ বাসিন্দারাও। এমনকি শাসকদলের মাদার পার্টির প্রচুর নেতা এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ। কিন্তু কেউ প্রকাশ্যে মুখ খুলতে চাইছেন না। এভাবে জনগণের শৌচালয় রাতারাতি দখল করে শাসকদলের পার্টি অফিস গড়ে ওঠায় রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু হয়েছে। ঘটনায় কটাক্ষের সুর চড়িয়েছেন স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর রাজত্বে এভাবে তাঁর দলের নেতারাই মহিলাদের অসম্মান করছেন। এমনটা ভাবা যায়না বলে দাবি বিজেপি নেতাদের।
বিষয়টি কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন এলাকার পঞ্চায়েত প্রধান শকুন্তলা সিংহ। তিনি বলেন, ‘বিষয়টি শুনেছি। আমি অবিলম্বে সামনে থেকে যাতে ড্রাইভার ইউনিয়নের পার্টি অফিস সরিয়ে দেওয়া যায় সে বিষয়ে নোটিফিকেশন জারি করব।’
শাসকদলের শ্রমিক সংগঠনের জেলা সভাপতি শুভদীপ সান্যাল জানান, বিষয়টি জানা নেই। এমন কিছু হয়ে থাকলে দলীয় স্তরে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রয়োজনে সেখান থেকে দলীয় কার্যালয়ে সরিয়ে দেওয়া হবে। অন্য়দিকে এই ঘটনায় তীব্র কটাক্ষ করেছে বিজেপি। বিজেপি হরিশ্চন্দ্রপুর মণ্ডল সভাপতি রুপেশ আগারওয়াল বলেন, ‘ঘটনাটি শুনেছি। এটাই তৃণমূলের সংস্কৃতি। কাটমানি, দাদাগিরি এসব ওরা করে। মানুষ সব দেখছে। পঞ্চায়েত ভোটে এসবের জবাব দেবে।’