ফাঁসিদেওয়া: গ্রামীণ এলাকায় প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগের ব্যবহার বাড়ছে। গ্রিন ট্রাইব্যুনালের নির্দেশ মেনে মিশন নির্মল বাংলার আওতায় শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের প্রতিটি ব্লকে ২০১৯ সালের ১৫ অগাস্ট থেকে প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। তারপর এক বছর পেরিয়ে গিয়েছে। অথচ, এখনও মহকুমা এলাকায় প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগের ব্যবহার চলছেই। প্লাস্টিকের ব্যবহার রুখতে প্রশাসনের সেরকম কোনও ভূমিকা চোখে পড়ছে না বলে অভিযোগ। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন পরিবেশ প্রেমী সংস্থা উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
ফাঁসিদেওয়া বাঁশগাও কিশমত গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফে একাধিকবার দোকানে গিয়ে প্লাস্টিক বর্জনের আর্জি জানানো হয়েছে। পাশাপাশি ফাঁসিদেওয়া বিডিও অফিসের তরফেও সচেতনতামূলক প্রচার চালানো হয়েছে। কিন্তু লাভ হয়নি। অভিযোগ, প্রশাসনের কড়াকড়ি না থাকার কারণেই গ্রামীণ এলাকায় প্লাস্টিকের ব্যবহার এখন আরও বেড়ে গিয়েছে।
ফাঁসিদেওয়ার ব্যবসায়ী সুরজ ঘোষ বলেন, ‘ক্রেতাদের চাহিদা মেটাতেই প্লাস্টিক রাখতে হচ্ছে।’ নির্মল সিংহ নামে এক ক্রেতা বলেন, ‘থলে বহন করা মুশকিল। তাই প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ।’ একই চিত্র মহকুমার খড়িবাড়ি, নকশালবাড়ি, মাটিগাড়া প্রতিটি ব্লকেই।
শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের সভাধিপতি তাপস সরকার জানিয়েছেন, করোনা সংক্রমণ রুখতে বিভিন্ন ধরণের প্রচার চালাতে হচ্ছে। মূলত সেকারণেই প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগের ব্যবহার বন্ধ করতে কোনও পদক্ষেপ করা যাচ্ছে না। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে গ্রামীণ এলাকায় এবিষয়ে ফের প্রচার চালানো হবে। প্রয়োজনে জরিমানা করা হবে।