নাগরাকাটা: যক্ষ্মামুক্ত জেলা গড়তে এবার হাতিয়ার সুর-তালের মূর্চ্ছনাও। এজন্য একটি থিম সং তৈরি করে ফেলেছে জলপাইগুড়ি। যা ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। গানটির রচয়িতা ও সুরকার জেলা যক্ষ্মা আধিকারিক (ডিটিও) ডাঃ শুভদীপ বিশ্বাস নিজেই। কণ্ঠ জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের এইডস বিভাগের হিসেব রক্ষক নিরূপম চক্রবর্তীর। তাঁকে বাদ্যযন্ত্রে সহযোগিতা করছেন হিল্লোল সুর নামে এক ব্যক্তি। জেলার যক্ষ্মা ইউনিটের শীর্ষ কর্তাদের এই উদ্যোগকে কুর্নিশ জানিয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তরের শীর্ষ আধিকারিকরাও।
উত্তরবঙ্গের অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি (জনস্বাস্থ্য) ডাঃ সুশান্ত রায় বলেন, ‘গানটি নিজেও শুনেছি। অবশ্যই থিম সং হওয়ার মতো একটি প্রয়াস। যক্ষ্মা নিয়ে সচেতনতা তৈরিতে গানটি যে দিকে দিকে দারুণ সাড়া ফেলবে তা নিয়ে কোনও সংশয় নেই।‘
যক্ষ্মার ওই গানের কথা অত্যন্ত সহজ সরল। প্রতিটি লাইনে রয়েছে সুস্পষ্ট বার্তা। বলা হয়েছে, এক যে আছে কাশি/ সে ভীষন সর্বনাশী/ দু সপ্তাহের বেশি হলেই ঝঞ্ঝাট। ছিল প্রাচীনকাল থেকে/ রাজ রোগ যে বলতো তাকে/ কত রাজা হারিয়েছে রাজপাট। সাথে থাকে যদি/ জ্বর সন্ধ্যাবধি/ এবং ওজন কমার কিছু গল্প/ যাও হাসপাতালের কাছে/ তোমার আনাচে কানাচে/ আমাদের দাও তোমার ভালগাম অল্প।
জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর জানাচ্ছে, আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে যক্ষ্মা মুক্ত দেশ ও বাংলা গড়ার ডাক দেওয়া হয়েছে। তার আগে ওই রোগ মুক্ত জেলা গড়া অত্যন্ত জরুরি। জলপাইগুড়িতে বর্তমানে যক্ষ্মা নির্মূলে নানা কাজ চলছে। এরই একটি অঙ্গ হিসেবে প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন থিম সং-এর আত্মপ্রকাশ। সেদিন যক্ষ্মা, এইডস, ডেঙ্গি সহ নানা রোগের ওপর জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে জলপাইগুড়ি শহরে যে ট্যাবলোর আয়োজন করা হয় সেখানেই প্রথম গানটি বাজানো হয়। এরপর তা নানা স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। রাজ্যের যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ বিভাগের কাছেও গানটি পাঠানো হয়। সেখানেও প্রশংসিত হয়েছে এই প্রচেষ্টা। রাজ্য যক্ষ্মা আধিকারিক ডাঃ সন্তোষ রায় বলেন, ‘এখনও রোগটিকে নিয়ে সচেতনতার অভাব রয়েছে। উত্তরবঙ্গের চা বাগান সহ বিভিন্ন প্রত্যন্ত এলাকায় যক্ষ্মা হলে কী করণীয় তা গানের সুরে মানুষের কাছে আরও বেশি করে পৌঁছোবে বলেই মনে করি। অত্যন্ত ভালো একটি উদ্যোগ।‘
এদিকে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রেই জানা গিয়েছে, চলতি বছর ফের লুকিয়ে থাকা যক্ষ্মা রোগীদের চিহ্নিত করতে নতুন করে অ্যাকটিভ কেস ফাইন্ডিং (এসিএফ) কর্মসূচি শুরু হতে চলেছে। আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ২ মার্চ পর্যন্ত ওই কর্মসূচিটি চলবে। জেলা যক্ষ্মা আধিকারিক ডাঃ শুভদীপ বিশ্বাস বলেন, ‘রোগটি নির্মূলে স্বাস্থ্য দপ্তর বদ্ধপরিকর। গানটি জেলায় প্রচলিত অন্য ভাষাতেও অনুবাদ করে দিতে যদি কেউ এগিয়ে আসেন তাঁকে স্বাগত।‘
লেটেস্ট খবর জানার জন্য দেখুন www.uttarbangasambad.com এবং ব্রেকিং নিউজ (Breaking News) এবং ডেইলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন উত্তরবঙ্গ সংবাদ টিভিতে ।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Instagram পেজ
আরও পড়ুন : প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ‘পরীক্ষা পে চর্চা’ কর্মসূচিতে যোগ দিল মালবাজারের পড়ুয়ারা