চাঁদকুমার বড়াল, কোচবিহার : জমিরই হদিস নেই। অথচ সেই জমির উপর একটি প্রকল্পের ভবন তৈরির জন্য টাকা বরাদ্দ থেকে শুরু করে টেন্ডার হওয়া এবং কাজ শুরুর ওয়ার্ক অর্ডার পর্যন্ত দিয়ে দেওয়া হল। আজব এই ঘটনা ঘটেছে কোচবিহারে। কোচবিহারের তুফানগঞ্জে শিক্ষা দপ্তরের সাব-ডিভিশনাল এআই ভবন তৈরি নিয়ে চাঞ্চল্যকর এই বিষয়টি সামনে এসেছে।
প্রায় চার মাস ধরে সেই প্রকল্প আটকে রয়েছে জমি না থাকায়। স্বভাবতই পড়ে রয়েছে টাকা। কিন্তু জমির সংস্থান না করেই কেন টেন্ডার থেকে ওয়ার্ক অর্ডার সব দেওয়া হল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এ বিষয়ে অ্যাসিস্ট্যান্ট ইনস্পেকটর অফ স্কুল (মাধ্যমিক) দেবাশিস ভট্টাচার্য বলেন, জমির খোঁজ চলছে। জমি পেলে কাজ শুরু হবে। ভবন তৈরির আবেদন অনুযায়ী রাজ্য টাকা দিয়েছে। জেলা পরিষদ সেই হিসেবে টেন্ডার করেছে। এসডিও, বিডিওদের সঙ্গে সেই সময় জমি নিয়ে কথা বলা হয়েছিল। জমি পাওয়া যাবে বলে জানানো হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে জমি না মেলায় কাজ শুরু হয়নি। কোচবিহার জেলা পরিষদের অ্যাসিস্ট্যান্ট এগজিকিউটিভ অফিসার (এইও) রামকৃষ্ণ মালি বলেন, সংশ্লিষ্ট দপ্তর জমি দিতে না পারায় প্রকল্পটি আটকে রয়েছে। যে জমিতে প্রকল্প হওয়ার কথা ছিল সেটায় ত্রুটি থাকায় কাজ শুরু করা যায়নি। জমি দিলে কাজ শুরু করা হবে।
জেলা শিক্ষা দপ্তর এবং জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, তুফানগঞ্জ শহরে সাব-ডিভিশনাল এআই ভবন হওয়ার কথা ছিল। ৩৪ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকার এই প্রকল্পটির কাজ করার কথা ছিল জেলা পরিষদের। গত বছরের ডিসেম্বর মাসে টেন্ডার হয়ে ওয়ার্ক অর্ডার দেওয়া হয়। সেই কাজ এখনও শুরু হয়নি। টাকা পড়ে রয়েছে জেলা পরিষদের কাছে। ডিপোজিট ওয়ার্ক হিসেবে কাজটি জেলা পরিষদের করার কথা থাকলেও জমির সংস্থান করার কথা জেলা শিক্ষা দপ্তরের। সেই হিসেবে তুফানগঞ্জ শহরে একটি জমি চিহ্নিত করা হয়। কিন্তু ওয়ার্ক অর্ডার হওয়ার পর কাজ শুরু হওয়ার মুখে সেই জমির ত্রুটি থাকায় কাজ শুরু করেনি জেলা পরিষদ। এরপর আর অন্য জমিও পাওয়া যায়নি। ফলে প্রশ্ন উঠছে, সরকারি প্রকল্পের জমির সংস্থান না থাকা সত্ত্বেও ওয়ার্ক অর্ডার দেওয়া হল কীভাবে।