উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: বুধবার রাত ৮টা ১৪ মিনিট নাগাদ ভারতের মাটি ছুঁল দ্বিতীয় ব্যাচের তিনটি রাফায়েল যুদ্ধবিমান। প্রথম ব্যাচের পাঁচটি রাফায়েল ফ্রান্স থেকে ভারতে আসার পথে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর আবুধাবির কাছে আল দাফরা এয়ারবেসে থেমেছিল। কিন্তু দ্বিতীয় ব্যাচের ৩টি রাফায়েল সরাসরি ভারতে এসে পৌঁছেছে। এদিন বিষয়টি ইন্ডিয়ান এয়ারফোর্সের তরফে টুইটে জানানো হয়েছে।
গত মাসে বায়ুসেনা প্রধান আরকেএস ভাদুড়িয়া জানিয়েছিলেন, এখন থেকে প্রতি দু-তিন মাস অন্তর তিনটি বা চারটি করে রাফায়েল ভারতে আসবে। প্রথম স্কোয়াড্রনের ১৮টি রাফায়েল ২০২১ আর দ্বিতীয় স্কোয়াড্রনের ১৮টি ২০২৩ সালের মধ্যে ভারতের হাতে চলে আসবে। আগামী তিন বছরের মধ্যে তেজশ, মিগ ২৯, সুখোই-৩০ এমকেআই ও রাফায়েলের সম্মিলিত শক্তি দেখা যাবে।
Second batch of IAF #Rafale aircraft arrived in India at 8:14 pm on 04 Nov 20 after flying non-stop from France.
— Indian Air Force (@IAF_MCC) November 4, 2020
২৯ জুলাই ফ্রান্স থেকে ভারতে এসে পৌঁছেছে প্রথম ব্যাচের পাঁচটি রাফায়েল। সেগুলি আম্বালা এয়ার বেসে রয়েছে। গত ১০ সেপ্টেম্বর প্রথম ব্যাচের ৫টি রাফায়েলকে ভারতীয় বায়ুসেনার ১৭ গোল্ডেন অ্যারোজ স্কোয়াড্রনের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
ভারত ৫৯ হাজার কোটি টাকা দিয়ে ফ্রান্সের কাছ থেকে ৩৬টি রাফায়েল যুদ্ধবিমান কিনছে। ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে এবিষয়ে ফ্রান্সের সঙ্গে ভারতের চুক্তি হয়। দুটি স্কোয়াড্রনে ভাগ করে যুদ্ধবিমানগুলিকে দেশের দুই প্রান্তে রাখা হবে। প্রথম স্কোয়াড্রনের ১৮টি হরিয়ানার আম্বালা এয়ারবেসে থাকবে। তার মধ্যে ৫টি চলে এসেছে। বুধবার ভারতের মাটি ছুঁল দ্বিতীয় ব্যাচের আরও তিনটি রাফায়েল যুদ্ধবিমান।
দ্বিতীয় স্কোয়াড্রনের ১৮টি পশ্চিমবঙ্গের হাসিমারাতে থাকবে। একদিকে পাকিস্তান আর অন্যদিকে, চিনের আক্রমণ প্রতিহত করাই এর উদ্দেশ্য। ভারতীয় বায়ুসেনা মনে করছে, ২০২৩ সালের মধ্যেই মোট ৩৬টি রাফায়েল ভারতের হাতে চলে আসবে। ফ্রান্সের ড্যাসল্ট অ্যাভিয়েশেনের তৈরি এই যুদ্ধবিমানে রয়েছে মেটিওর, হ্যামার ও স্ক্যাল্প মিসাইল।
চিনের পঞ্চম প্রজন্মের স্টেল্থ প্রযুক্তির যুদ্ধবিমান চেংডু জে ২০-র মোকাবিলায় সহায়ক হবে রাফায়েল, এমনটাই মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা। ভারতের কাছে তেজশ, মিগ ২৯, সুখোই-৩০ এমকেআই যুদ্ধবিমান আগেই ছিল। এই পরিস্থিতিতে সবগুলি রাফায়েল চলে এলে ভারতের শক্তি নিঃসন্দেহে আরও বাড়বে।
এদিকে, লাদাখে ভারত-চিন সীমান্তে গত কয়েকমাস ধরে উত্তেজনা চলছে। ১৫ জুন রাতে পূর্ব লাদাখের গালওয়ানে চিনা সেনার সঙ্গে সংঘর্ষে কুড়ি জন ভারতীয় জওয়ান শহিদ হন। তারপর ভারত ও চিনের মধ্যে সেনা পর্যায়ে বেশ কয়েকবার বৈঠক হয়েছে। কিন্তু সমাধান সূত্র বেরিয়ে আসেনি। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বা লাইন অফ অ্য়াকচুয়াল কন্ট্রোল বরাবর এখনও উত্তেজনা রয়েছে। ভারতের তরফে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে সীমান্তে।