লাদাখ: লাদাখের গালওয়ান ভ্যালিতে চিনা সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে একজন ভারতীয় সেনা আধিকারিক ও দুই জওয়ান শহিদ হয়েছেন। সেনাবাহিনীর তরফে মঙ্গলবার জানানো হয়েছে, সোমবার রাতে গালওয়ান ভ্যালিতে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। উত্তেজনা সামাল দিতে দুই দেশের সেনা আধিকারিকরা স্থানীয় স্তরে আলাপ আলোচনা করেছেন।
সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন চিনা সেনাও হতাহত হয়ে থাকতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে, সংঘর্ষে ভারতের কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা চিনের বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানতে চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সংঘর্ষ পরবর্তী সময়ে ভারত যাতে একতরফাভাবে কোনও পদক্ষেপ না করে সে হুমকিও দিয়েছে চিন।
উল্লেখ্য, প্রায় দেড় মাস ধরে পূর্ব লাদাখে ভারত-চিন সীমান্তে উত্তেজনা চলছে। দুই দেশই সীমান্তে প্রচুর সংখ্যক সেনা মোতায়েন করছে। লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল বা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে বারবার ভারত ভূখন্ডে ঢুকে পড়ার অভিযোগ উঠেছে চিনা সেনার বিরুদ্ধে। ৫ মে প্যাংগং লেকের কাছে ভারতীয় ও চিনা সেনার মধ্যে হাতাহাতি হয়। স্থানীয়ভাবে ঝামেলা মেটানোর চেষ্টা করা হলেও, কোনও লাভ হয়নি।
China Foreign Ministry, asked about Indian Army reporting casualties in clash with China, says calls on India to not take unilateral actions or stir up trouble: Reuters
— ANI (@ANI) June 16, 2020
লাদাখে ভারত-চিন সীমান্তে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে কয়েকদিন আগে জানিয়েছিলেন সেনাবাহিনীর প্রধান মনোজ মুকুন্দ নারাভানে। সেনাপ্রধান বলেছিলেন, ‘ভারত-চিন সীমান্তে পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’ কিন্তু তারপর সোমবার রাতে যেভাবে লাদাখের গালিয়ান ভ্যালিতে চিনা সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে তিন ভারতীয় জওয়ানের মৃত্যু হল, তাতে লাদাখের পরিস্থিতি কতটা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে সেই প্রশ্ন উঠছে।