নাগরাকাটা: এবার চম্পাগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত বোর্ডের দখল নিল তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপির টিকিটে নির্বাচিত সেখানকার প্রধান ববিতা কাছুয়ার বিরুদ্ধে সম্প্রতি অনাস্থা এনেছিলেন ১৬ জন পঞ্চায়েত সদস্য। মঙ্গলবার ছিল তলবি সভা। তাতে ভোটাভুটির পর নয়া প্রধান হিসেবে নির্বাচিত হন তৃণমূলের রন্থী তিরকি। প্রধান পদে রন্থীর প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন সাবিনা লাকড়া। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটে চা বাগান ঘেরা চম্পাগুড়িতে বিজেপি একক সংখ্যা গরিষ্ঠতা অর্জন করে। গেরুয়া শিবিরের হয়ে ভোটে জেতা ৭ জন সদস্য সম্প্রতি দল বদল করে শাসকদলে নাম লেখান। বিজেপির হাত থেকে বোর্ড হাতছাড়া হওয়ার এটাই কারণ।
এদিন বোর্ডের দখল নেওয়ার পরপরই বিজয় উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। অকাল হোলিতে মেতে উঠতে দেখা যায় তাঁদের। নয়া প্রধান রন্থি তিরকিকে সংবর্ধনা জানানো হয়। উপস্থিত ছিলেন জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ গণেশ ওরাওঁ, নাগরাকাটা পঞ্চায়েত সমিতির সহকারী সভাপতি সুরেশ ওরাওঁ ও পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ অসিতাভ বসু সহ আরও অনেকে।
বিদায়ী প্রধান ববিতা কাছুয়া জানান, উন্নয়নের কাজে চম্পাগুড়ি পঞ্চায়েত দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিল। বিরোধী হিসেবেও সদর্থক ভৃমিকাই পালন করে যাবেন তিনি। বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও চম্পাগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের শিল্প ও পরিকাঠামো উপ সমিতির সঞ্চালক মনোজ ভুজেল জানান, তাঁদের বোর্ডের মাধ্যমে এখানে নজরকাড়া উন্নয়ন হয়েছে। নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য কয়েকজন দল ছাড়ে। তাতে পরোয়া নেই। তাঁরা মানুষকে সঙ্গে নিয়ে চলবেন।