দিনহাটা: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ঘর নেওয়ার তালিকায় পরিবারের সদস্যদের নাম রয়েছে এই অভিযোগ উঠতেই নিজেই বিডিও অফিসে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের নাম কাটার জন্য আবেদন জানালেন গিতালদহ-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান তথা বর্তমান পঞ্চায়েত সদস্য আবুয়াল আজাদ। দিনহাটা(Dinhata)-১ ব্লকের বিডিওর সঙ্গে দেখা করে এই আবেদন জানান তিনি। এদিন তিনি বলেন, ‘২০১৮ সালে যখন তালিকা তৈরি হয়েছিল তখন সরকারি কর্মীরা ওই তালিকা তৈরি করেছিল। আমি জানি না কেন আমার পরিবারের সদস্যদের নাম উঠেছে। আমি সেই নামগুলো কাটার জন্য বিডিও অফিসে আবেদন জানালাম।‘
জানা গিয়েছে, ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর গিতালদহ-১ গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করে যুব তৃণমূল সমর্থিত নির্দলরা। পরবর্তীতে তাদের তৃণমূলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। সে সময় প্রধান নির্বাচিত হন আবুয়াল আজাদ। পরবর্তীতে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে তাঁকে প্রধান পদ থেকে অপসারণ করা হয় এবং মাসখানেক আগে তাঁকে দল থেকেও বহিষ্কার করা হয়। এরপরই দিন কয়েক আগে দলবিরোধী কাজের জন্য গিতালদহ-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের বর্তমান অঞ্চল সভাপতি মাফিজুর রহমান অভিযোগ করেন প্রাক্তন প্রধান আবুয়াল আজাদের পরিবারের ৭ সদস্যর প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘরের তালিকায় নাম রয়েছে। তিনি দুর্নীতি করেছেন। এই অভিযোগ উঠতেই আজাদ বলেন, ‘তাঁর চার ছেলেমেয়ের নাম ছিল। সেগুলো বাদ দেওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছেন। বাকি যে দুই ভাই রয়েছে তাঁরা গরিব। সরকার যদি মনে করে তাঁদের নাম বাদ দেবে দিতে পারে।‘ এছাড়া আর এক ভাই আবেদন না করা সত্বেও তাঁর নাম কেন তালিকায় এল তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। গোটা বিষয়টি নিয়ে গীতালদহ এক অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি মাফুজার রহমান বলেন, ‘প্রধান থাকাকালীন আবু আল আজাদ দুর্নীতি করেছেন। সব ধরা পড়ে যাওয়ায় এখন নাম কাটার নাটক করছেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ ভারত স্কাউটস অ্যান্ড গাইডসের প্রশিক্ষণ দিয়ে চাকরির প্রলোভন, আটক ৫