চোপড়া: মাটি চাপা পড়ে চার শিশুর মৃত্যুতে বিক্ষোভ শুরু করল তৃণমূল কংগ্রেস (Chopra TMC Protest)। মঙ্গলবার বিএসেফের চেতনাগছ চৌকির সামনে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেছেন তৃণমূল বিধায়ক হামিদুল রহমান। সঙ্গে রয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী গোলাম রব্বানি (Ghulam Rabbani), উত্তর দিনাজপুর জেলার তৃণমূল সভাপতি কনাইয়ালাল আগরওয়াল, রাজ্য নেত্রী পম্পা সরকার প্রমুখ। এদিন বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ মৃতদেহ সমাধিস্থ করার পরই এলাকায় অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থানে বসেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
চার শিশুর মৃত্যুর ঘটনার জন্য বিএসএফকে (BSF) দায়ী করেছে তৃণমূল। এদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি তোলেন মন্ত্রী গোলাম রব্বানি। তাঁর কথায়, ‘এত বড় ঘটনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অন্তত একটি শোকবার্তা জানাতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা করেননি।’ তিনি আরও বলেন, ‘সন্দেশখালিতে তেমন কিছুই হয়নি। সেখানে রাজ্যপাল যেতে পারছেন অথচ এখানে আসার ব্যাপার নেই।’
এদিন বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে বিএসএফের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিধায়ক হামিদুল রহমান। একইসঙ্গে তিনি জানান, মৃত চার শিশুর পরিবার পিছু ৩ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে রাজ্য সরকারের তরফে। বিএসএফের তরফে যেন ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়, সেই দাবিও তুলেছেন হামিদুর রহমান।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, চোপড়া থানার চেতনাগছ গ্রামে ঘটনাস্থলের পাশেই বিএসএফের চৌকি রয়েছে। খনন করা মাটি অন্যত্র গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। আর সেখানেই শিশুরা দেখতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। বিএসএফের নজরের সামনে খননকাজ চলেছে। চাইলেও এর দায় বিএসএফ এড়াতে পারে না। কারণ সীমান্ত রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বভার তাদের উপর রয়েছে। সীমান্তের রাস্তা ঘেঁষে প্রায় ১০০ মিটার জুড়ে অন্তত ১০ ফুট গভীর নালা খনন করা হয়েছে। সেই মাটি গাড়িতে করে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। তা দেখতে গিয়েই ওই চার শিশু মাটি চাপা পড়ে।