নাথুয়া: একেই বোধ হয় বলে রাখে হরি মারে কে! ট্র্যাক্টরের নীচে চাপা পড়েও বরাতজোরে বাঁচল এক যুবক ও কিশোর। সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ বানারহাট(Banarhat) ব্লকের নাথুয়ার চামটিমুখী এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। দুজনেই গুরুতর জখম হয়েছেন দুর্ঘটনায়। তাদের ধূপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন দুপুরে সুশান্ত রায় (২২) ও প্রমিত রায় (১৭) নামে দুজন ট্র্যাক্টর নিয়ে চামটিমুখী এলাকা দিয়ে যাচ্ছিল। সুশান্তই ট্র্যাক্টর চালাচ্ছিল। চামটিমুখী এসসি প্রাইমারি স্কুলের সামনে আচমকাই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্র্যাক্টরটি একটি নালার মধ্যে উলটে পড়ে। ট্র্যাক্টরের নীচে চাপা পড়ে ওই দুজন। জাহাঙ্গীর আলি নামে স্থানীয় এক শিক্ষক বিষয়টি লক্ষ্য করেন এগিয়ে যান। এরপর স্থানীয় বাসিন্দা ও স্কুলের শিক্ষকরা এসে উদ্ধারকাজে হাত লাগান। তাঁরাই দুজনকে ট্র্যাক্টরের নীচ থেকে টেনে বের করেন। ঘটনায় সুশান্ত ও প্রমিত গুরুতর জখম হয়। যুবকের মাথা ফেটেছে। কিশোরের হাত ভেঙেছে বলে খবর। তাদের সঙ্গে সঙ্গে ধূপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। স্কুল শিক্ষক বিষ্ণুপদ মণ্ডল জানান, ওই দুজন কার্যত বরাতজোরে বেঁচেছে। সকলের তৎপরতায় তাদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়।
এদিকে, স্থানীয় ও স্কুল শিক্ষকদের একাংশের অভিযোগ, স্কুলের সামনের রাস্তা দিয়ে বেপরোয়া গতিতে চলাচল করে ট্র্যাক্টর সহ বিভিন্ন যানবাহন। স্কুলে সীমানা প্রাচীর না থাকায় অনেক সময় খুদে পড়ুয়ারা রাস্তায় উঠে পড়ছে। যার ফলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। সেকারণে স্কুলে প্রাচীর নির্মাণের পাশাপাশি যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণের দাবিও উঠেছে স্থানীয় ও শিক্ষকদের তরফে। পুলিশ ও প্রশাসন সূত্রের খবর, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।