শিলিগুড়ি: এবার উলটপুরাণ রাজগঞ্জ ব্লকের সন্ন্যাসীকাটা এলাকায়। নির্বাচনে সন্ত্রাসের অভিযোগে রবিবার রাজগঞ্জ থানায় বিক্ষোভ প্রদর্শন করল তৃণমূলের সন্ন্যাসীকাটা অঞ্চল কমিটি।
তাঁদের অভিযোগ, শনিবার নির্বাচনে বাম-কংগ্রেস জোট সন্ত্রাস করেছে। এমনকি মারধর করা হয়েছে তৃণমূল কর্মীদের। দোষীদের শাস্তির দাবিতে এদিন তাঁরা রাজগঞ্জ থানায় হাজির হন। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিরোধীরা। বিরোধীদের পালটা দাবি, নির্বাচনে পরাজয় হবে জেনেই তৃণমূল বহিরাগতদের নিয়ে এসে আক্রমণ করেছে। এলাকায় বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়েছে জোট কর্মী সমর্থকদের। বেশকিছু টোটো ও বাইক ভাঙচুরের অভিযোগে সরব হয়েছেন বাসিন্দারা। পুলিশের বিরুদ্ধেও একরাশ ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন সেরাফাত হোসেন হাবিবর রহমান, আইয়ু আলী সহ বহু বাসিন্দা।
শনিবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে সন্ন্যাসীকাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের ১১৮ নম্বর বুথের জুম্মাগছ এলাকায় ব্যাপক সন্ত্রাসের অভিযোগ ওঠে। ঘটনায় তৃণমূলের চারজন সহ দুপক্ষ মিলিয়ে প্রায় ৩০ জন গুরুতর জখম হয় বলে জানা গিয়েছে। আহতদের উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল সহ বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। স্থানীয় সিপিএম ও কংগ্রেসের অভিযোগ, গ্রাম পঞ্চায়েতের বিদায়ী উপপ্রধান আতিয়ার রহমানের নেতৃত্বে সন্ত্রাস করা হয়েছে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে পালটা বাম ও কংগ্রেসের দিকেই সন্ত্রাসের অভিযোগ করেছেন আতিয়ার। তিনি বলেন, ‘জনগণ শান্তিতে ভোট দিচ্ছিল। বাম কংগ্রেস জোট ও বিজেপি লোকেরাই সন্ত্রাস শুরু করে। আমাদের লোকজনকে মারধর করা হয়েছে। প্রশাসন উপযুক্ত ব্যবস্থা না নেওয়া পর্যন্ত আমরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করব।‘
কোয়ারবাড়ি, দিলুগছ, জুম্মাগছ ও চতুরাগছ এলাকা নিয়ে ১১৮ নম্বর বুথ। নির্বাচনের কয়েকদিন আগে থেকেই এই এলাকায় গণ্ডগোলের খবর শোনা যাচ্ছিল। সিপিএম নেতা অশোক রায় বলেন, ‘সন্ত্রাস ও বুথ দখল না হলে সন্ন্যাসীকাটা অঞ্চল এবার বাম কংগ্রেস জোটের দখলে আসার কথা। কিন্তু নির্বাচন শুরু হতেই গোটা অঞ্চলে শাসকদল সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি করে।‘ প্রায় একই অভিযোগ কংগ্রেসের। দলের রাজগঞ্জ ব্লক সভাপতি দেবব্রত নাগের কথায়, ‘নির্বাচনে ফলাফল ভালো হবে না জেনে জুম্মাগছ, বধেয়াগঞ্জ, গিরনিগঞ্জ, নবগ্রাম সহ অগণিত জায়গায় সন্ত্রাস করেছে।‘ নির্বাচনকে প্রহসন বলেও আখ্যা দিয়েছেন তিনি।