বক্সিরহাট: ভোট প্রচারের শেষদিনে বিজয় মিছিলে মাতল তৃণমূল! ব্লক তৃণমূলের সহ সভাপতি তথা জেলা পরিষদের প্রার্থী নিরঞ্জন সরকার জানান, দশটি আসন সংখ্যা বিশিষ্ট ফলিমারি গ্রাম পঞ্চায়েতে মনোনয়নপত্র দাখিল করতে না পারায় আগেই দুটি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয় তৃণমূল। ভোটের আগে গ্রাম পঞ্চায়েতের ৬ জন বিজেপি প্রার্থী যোগদান করেন তৃণমূলে। এছাড়াও রামপুর এক ও দুই গ্রাম পঞ্চায়েতে জয়ের ক্ষেত্রেও তাদের আর কোনও বাধা রইল না। এই তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়ও তৃণমূল জিতবে বলে জানান তিনি। তাই বৃহস্পতিবার দলীয় কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে বিজয় উল্লাসে মেতে ওঠেন তিনি।
এদিন নিরঞ্জন সরকারের উদ্যোগে সংশ্লিষ্ট ব্লকের রামপুর-১ ও ২ এছাড়াও ফলিমারি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় বিজয় মিছিলের আয়োজন করা হয়। ডিজে বাজিয়ে, ঢাকঢোল পিটিয়ে সবুজ আবির গায়ে মেখে উল্লাসে মেতে উঠেন তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা। এলাকার ব্যবসায়ীদের মিষ্টি মুখ করান প্রার্থীরা।
যদিও এবিষয়ে তুফানগঞ্জ বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক মালতি রাভা বলেন, ‘রামপুর ও ফলিমারি এলাকায় তাঁদের দলীয় কর্মী ও প্রার্থীদের ওপর প্রতিনিয়ত সন্ত্রাস চালাচ্ছেন নিরঞ্জন সরকার। যেখানে প্রতিটি বুথে বিজেপির প্রার্থী রয়েছে সেখানে, ভোটের আগে কী করে বিজয় মিছিল করেন তৃণমূলের নেতা? এছাড়াও বিজেপির প্রার্থীদের হুমকি দিয়ে ভয় দেখিয়ে যোগদান করানো হয়েছে তৃণমূলে। আমরা এর আগে প্রশাসনকে বহুবার অভিযোগ জানিয়েছি। কোনও লাভ হয়নি। এদিন বিজয় মিছিলের নামে বিজেপি কর্মী ও প্রার্থীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দিয়েছে তৃণমূল।’ যদিও তৃণমূলের তরফে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।