গৌতম সরকার, চ্যাংরাবান্ধা: লকডাউনের কারণে সীমান্তে আটকে বোল্ডার বোঝাই বহু ট্রাক। ফলে, কোচবিহার জেলার চ্যাংরাবান্ধা সীমান্ত দিয়ে কবে বাংলাদেশে বোল্ডার রপ্তানি চালু হবে, সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন ব্যবসায়ী ও এ কাজের সঙ্গে যুক্ত মানুষজন।
সূত্রের খবর, লকডাউনের আগে ভুটান এবং ভারত থেকে প্রতিদিন চ্যাংরাবান্ধা সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পাঁচশো বোল্ডার বোঝাই ট্রাক প্রবেশ করত। বাংলাদেশে বোল্ডারের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় বোল্ডার রপ্তানির পরিমাণও বেড়েছিল। এ কাজে ব্যবসায়ী ও শ্রমিকের সংখ্যাও ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছিল। কিন্তু, লকডাউনের কারণে সবকিছু স্তব্ধ। সীমান্ত লাগোয়া অঞ্চলে বহু বোল্ডার বোঝাই ট্রাক প্রায় টানা দু’মাস দাঁড়িয়ে রয়েছে।
এরফলে, ট্রাকের মালিক, চালক, ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে এ কাজের সঙ্গে যুক্ত সমস্ত স্তরের মানুষ চিন্তায় রয়েছেন। কবে রপ্তানি শুরু হবে, তার উত্তর খুঁজছেন তাঁরা। যদিও কেন্দ্রের তরফে সীমান্ত বাণিজ্য চালুর বিষয়ে অনেকদিন আগেই সায় মিলেছে। এক্ষেত্রে অবশ্য অত্যাবশ্যকীয় পণ্য পাঠানোর অনুমতি রয়েছে বলে সূত্রের খবর। যদিও রাজ্যের তরফে এখনও কোনও সাড়া না মেলায় বৈদেশিক বাণিজ্য চালু হয়নি বলে শুল্ক দপ্তর ও প্রশাসন সূত্রে খবর।
ব্যবসায়ী মহল সূত্রে খবর, চ্যাংরাবান্ধা দিয়ে দিনে প্রায় দু’কোটি টাকার বোল্ডারের ব্যবসা হয়। অন্যান্য পণ্য মিলিয়ে প্রতিদিন প্রায় আড়াই কোটি টাকার বৈদেশিক বাণিজ্যে ক্ষতি হচ্ছে। চ্যাংরাবান্ধা এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিমল কুমার ঘোষ বলেন, ‘চ্যাংরাবান্দা সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে মূলত বোল্ডার রপ্তানি করা হয়। লকডাউনে রপ্তানি বন্ধ থাকায় স্বাভাবিকভাবেই আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে।’
এদিকে, টানা বাণিজ্য বন্ধের প্রভাব আগামীতেও পড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সংগঠনের সহ সভাপতি ভরত প্রসাদ গুপ্তা। যদিও স্থানীয় শুল্ক দপ্তর এবং মহকুমা প্রশাসনের কর্তারা সরাসরি কোনও মন্তব্য করতে চাননি।