ওয়াশিংটন: আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জো বাইডেনের জয় আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন করার জন্য অধিবেশন চলার সময় ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রায় কয়েকশো সমর্থক আমেরিকার কংগ্রেস ভবনে ঢুকে পড়ে। বুধবার আমেরিকার সংসদে জো বাইডেনকে আনুষ্ঠানিকভাবে রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচনের সময় ব্যারিকেড ভেঙে ভবনের ভিতরে ঢুকে পড়েন ট্রাম্প সমর্থকরা। এরপর সেখানে রীতিমত তাণ্ডব চালান তাঁরা। ঘটনায় গুলিতে ১ ব্যক্তির মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে।
নির্বাচনির সময় ক্যাপিটল ভবনের বাইরে জমা হন ট্রাম্প সমর্থকরা। ভোটে কারচুপি হয়েছে বলে অভিযোগ জানিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। কিছুক্ষণ পর পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ের ভিতরে ঢুকে পড়েন বিক্ষোভকারীরা। তাদের সামাল দিতে রীতিমত বেগ পেতে হয় নিরাপত্তারক্ষীদের। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ও পেপার স্প্রে ব্যবহার করেন পুলিশকর্মীরা। সংঘর্ষ চলাকালীন মার্কিন সংসদের নিম্নকক্ষ হাউজ অফ রিপ্রেজেন্টিটিভের সদস্যদের সেখান থেকে বার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। মুলতুবি হয় অধিবেশন।
মুলতুবি করতে হয় মার্কিন সংসদের উচ্চকক্ষ সেনেটের অধিবেশনও। সেনেটের সভাপতিত্ব করেন সেদেশের উপ-রাষ্ট্রপতি মাইক পেন্স। তাঁকেও নিরাপদ স্থানে নিয়ে যান নিরাপত্তারক্ষীরা। বাকি সদস্যদের গ্যাস মাস্ক পরতে বলা হয়। এই পরিস্থিতে বুধবার সন্ধ্যা থেকে আমেরিকায় কার্ফু জারি করা হয়েছে। এই ঘটনার জন্য ট্রাম্পের উসকানিমূলক মন্তব্যকে দায়ী করছেন অনেকে। ট্রাম্প এর বক্তব্য, ‘ভোট চুরি করে আমাকে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে।’ গত নভেম্বরে হারের পর থেকেই এই দাবি করে আসছেন ট্রাম্প। প্ররোচনামূলক বক্তব্য রাখায় ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট সাময়িক নিষ্ক্রিয় করেছে ফেসবুক, টুইটার ও ইন্সটাগ্রাম।
ঘটনার তীব্র নিন্দা করে, দেশের লজ্জা বলে আখ্যা দিয়েছেন বারাক ওবামা। তিনি লিখেছেন, গোটা ঘটনার জন্য দায়ী ডোলান্ড ট্রাম্প, উস্কানি তিনিই দিয়েছেন। ওবামার কথায়, ‘উনি একটানা নির্বাচন নিয়ে অপপ্রচার করে গিয়েছেন। এই হিংসা তাঁরই ফল।’
ঘটনার নিন্দা করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি থেকে বরিস জনসন। মেদি টুইটারে লিখেছেন, ‘গোটা ঘটনা দেখে স্তম্ভিত। গণতন্ত্রে এই আইনবিরুদ্ধ বিক্ষোভপ্রদর্শন চলতে পারে না।’