বর্ধমান: যমজ বোন মালা দিলেন যমজ ভাইয়ের গলায়। ছাদনাতলায় দুই নব দম্পতির আট হাত এক করালেন পুরোহিত। নজিরবিহীন এমন বিবাহের সাক্ষী ছিলেন পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের কুড়মুন গ্রামের বাসিন্দারা। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই বিয়ের ছবি দেখে মুগ্ধ নেটিজেনরা। তাঁরা সবাই দুই নব দম্পতিকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
কুড়মুনের যমজ ভাইয়েদের বিয়ের কার্ডেও অভিনবত্ব ধরা পড়ছে। কার্ডে দেওয়া বর্ণনা অনুযায়ী, বরেদের নাম লব পাকড়ে
ও কুশ পাকড়ে। আর যমজ পাত্রীরা হলেন, অর্পিতা সাঁতরা ও পারমিতা সাঁতরা। তাঁদের বাড়ি ভাতারের সোতখালি গ্রামে। গত রবিবার লব সিঁদুর পরিয়েছে অর্পিতার সিঁথিতে। আর কুশ পারমিতার সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়েছে। মঙ্গলবার হয় তাঁদের বৌভাতের অনুষ্ঠান। এই বিয়ে প্রেম ভালোবাসা করে নয় বলেই বিয়েতে আমন্ত্রিত থাকা অতিথিদের কথায় জানা গিয়েছে। কিন্তু তা না হয় হল। তবে যমজ ভাইয়ের জন্য যমজ পাত্রী খুঁজে বার করা সম্ভব হল কীভাবে? এই প্রসঙ্গে পাত্র পক্ষের বক্তব্য, এটাকেই হয়তো রাজযোটক বলে। ঘটক মহাশয়ের দৌলতেই নাকি এমন অসাধ্য সাধন সম্ভব হয়েছে বলে দাবি বিয়ে বাড়িতে আমন্ত্রিত এক ব্যক্তির।
আর পরিবারের সদস্যদের কথায়, যমজ বোন অর্পিতা ও পারমিতা ছোট থেকেই এক সঙ্গে থাকতে পছন্দ করেন। তাঁরা একে অপরকে ছাড়তে রাজি নন। তা দেখে তাঁদের অভিভাবকরা ভেবে রেখেছিলেন, বিয়ে দিলে একই বাড়ির পাত্রদের সঙ্গেই দুই মেয়ের বিয়ে দেবেন। ভাগ্য সহায় থাকায় পাত্রীদের অভিভাবকদের ভাবনাই বাস্তবায়িত হল। শুধু এক বাড়ির ছেলে নয়, কাকতালীয়ভাবে পাত্ররাও যমজ। অনেকে মজা করে বলছেন, বিবাহিত জীবনে কে কার বউ তা চিনতে অসুবিধা হবে না তো! তা নিয়ে অবশ্য কেউই ভাবিত নন। সেটা বোঝার বিশেষ ব্যবস্থাও নাকি দম্পতিরা সেরে রেখেছেন।