উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের হাথরসে ১৯ বছর বয়সী এক তরুণীকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় উত্তাল হয়েছে গোটা দেশ। নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগ, তরুণীকে গণধর্ষণ করা হয়েছে। কিন্তু উত্তরপ্রদেশ পুলিশ জানিয়েছিল, তরুণীকে ধর্ষণ করা হয়নি। ফরেনসিক রিপোর্টেও ধর্ষণের প্রমাণ মেলেনি বলে জানানো হয়েছিল। পরবর্তীতে রাজ্য সরকারের সুপারিশ মেনে ঘটনার তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে দেয় কেন্দ্রীয় সরকার।
এবার হাথরস কাণ্ডে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের জেএন মেডিকেল কলেজের দুই মেডিকেল অফিসারকে তাঁদের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল। কারণ হিসেবে যেটা উঠে আসছে, উত্তরপ্রদেশ পুলিশ প্রথমে দাবি করেছিল, তরুণীকে ধর্ষণ করা হয়নি। তার বিরোধিতা করেছিলেন এক মেডিকেল অফিসার। অন্য আরেকজন মেডিকেল অফিসার তরুণীর বেশ কিছু মেডিকেল রিপোর্টে স্বাক্ষর করেছিলেন। পুলিশের দাবির বিরোধিতা করার জন্যই ওই দু’জনকে সরিয়ে দেওয়া হল বলে মনে করা হচ্ছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সাফাই, রুটিন মেনে ওই দু’জনকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁদের অস্থায়ীভাবে নিয়োগ করা হয়েছিল।
যে দু’জন চিকিত্সককে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁরা হলেন ডা. মহম্মদ আজিমুদ্দিন মালিক এবং ডা. ওবেদ ইমতিয়াজুল হক। ডা. মালিকই উত্তরপ্রদেশ পুলিশের দাবির বিরোধিতা করে জানিয়েছিলেন, ১৯ বছরের ওই দলিত তরুণীকে গণধর্ষণ করা হয়েছিল।