বংশীহারি: ইউক্রেন থেকে হাঙ্গেরিতে পৌঁছেও ঘরে ফেরার অপেক্ষায় দিন গুনছে দক্ষিণ দিনাজপুরের বংশীহারির ঈশিতা রহমান। মেয়ের কথা ভেবে আকূল বাবা-মা। জেলার আরও এক পড়ুয়া জয়তী রায়ও তাঁর সঙ্গেই রয়েছে। ঈশিতার বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বংশীহারীর এলাহাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের পাঠানপাড়া গ্রামে। বাবা আব্দুর রহমান, জীবনবীমার এজেন্ট। মা আলেয়া খাতুন, গৃহবধূ। একমাত্র বোন অন্তরা রহমান এবারে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। গ্রাম্য পরিবেশে থেকেও তার স্বপ্ন ছিল ডাক্তার হবার। সেইমতো ইউক্রেনের কিয়েভ মেডিকেল কলেজে ভর্তি হয় সে। কিন্তু যুদ্ধ লেগে যাওয়ার পর থেকে ভারতীয় দূতাবাস তাঁদের খোঁজ নেয়নি বলে অভিযোগ। কোনও রকমে তাঁরা হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্টে পৌঁছয়। বর্তমানে সেখানে ভারতীয় দূতাবাস তাঁদের খেয়াল রেখেছে। স্থানীয় প্রবাসী ভারতীয়রাও তাঁদের খোঁজখবর নিচ্ছেন। বর্তমানে ভারতে ফেরার অপেক্ষা রয়েছে ঈশিতা। বালুরঘাটের আর্য সমিতি পাড়ার বাসিন্দা জয়তী রায়ও রয়েছে তাঁর সঙ্গেই। ঘরের মেয়ে কবে ঘরে ফিরবে সেই অপেক্ষায় রয়েছে জয়তীর পরিবারও।
আরও পড়ুনঃ বিদেশি ডিগ্রিতে হাফ ডাক্তার, তবু এমন পরম্পরা দেশে চলবেই