রাঙ্গালিবাজনা: আলিপুরদুয়ার জেলার ফালাকাটা ব্লকের দেওগাঁওয়ে শুকচাঁদ নালায় শুখা মরশুমে জল মেলে না। বর্ষাকালে জমিতে জমা বৃষ্টির জল গড়িয়ে ওই সেচনালা দিয়ে বয়ে গেলেও শুখা মরশুমে খটখটে শুকনো হয়ে যায় সেটি। কারণ, বুড়িতোর্ষা নদী থেকে ওই নালায় জল আনার জন্য তৈরি করা সেচবাঁধটি ভেঙে গিয়েছে প্রায় এক দশক আগে। নদীর জল বয়ে চলেছে তার নিজ খাত দিয়ে। আরেকদিকে, বছরের পর বছর ধরে সংস্কারের অভাবে নালার মুখে মাটি জমে তৈরি হয়েছে বিরাট চড়া। কমবেশি ২ হাজার বিঘা জমিতে জল মিলছে না বলে জানান স্থানীয়রা। যাঁদের সামর্থ্য রয়েছে তাঁরা ডিজেলচালিত পাম্পসেট ব্যবহার করে জলসেচের ব্যবস্থা করে আলু, সর্ষে চাষ করছেন। যাঁদের সামর্থ্য নেই তাঁরা শুখা মরশুমে পতিত ফেলে রাখছেন জমি।
জানা গিয়েছে, প্রায় ছয় দশক আগে এলাকার সম্পন্ন জমিদার পরিবারের ছেলে ধনেশ্বর বর্মন ব্যক্তিগত উদ্যোগে তৈরি করেন সেচনালাটি। বিঘার পর বিঘা ব্যক্তিগত জমি দেওয়ার পাশাপাশি নালা খননের জন্য তিনি জমিও কিনেছিলেন বলে জানান তাঁর উত্তরসূরীরা। ধনেশ্বরবাবুর বাবা শুকচাঁদ বর্মনের নাম অনুসারে নালাটির নামকরণ হয়। অথচ নালাটি এখন আর কোনও কাজেই লাগছে না বলে অভিযোগ স্থানীয় কৃষকদের। ঝোপঝাড়ে ঢেকে গিয়েছে নালাটি। শুখা মরশুমে নালায় গবাদি পশু চড়ে।
দেওগাঁও গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান রহিফুল আলম জানান, বাঁধ পুনর্নির্মাণ এবং নালা সংস্কারের জন্য যে বিপুল অঙ্কের টাকা প্রয়োজন তা খরচের এক্তিয়ার গ্রাম পঞ্চায়েতের নেই। তাই এ ব্যাপারে ব্লক প্রশাসনের মাধ্যমে জেলা পরিষদকে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।