সমীর দাস, কালচিনি : করোনা সংক্রমণ যাতে কোনোভাবেই কালচিনির চা বলয়ে থাবা বসাতে না পারে, সেজন্য কালচিনি থানা ও কালচিনি ব্লক প্রশাসনের উদ্যোগে গ্রামীণ স্বেচ্ছাসেবক নিযুক্ত করা হল। কালচিনি সংলগ্ন বিভিন্ন চা বাগানে স্বেচ্ছাসেবকদের নিযুক্ত করা হয়েছে।
কালচিনি থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, চা বাগানের কিছু যুবক দেশের জন্য কিছু কাজ করার জন্য মুখিয়ে আছেন। তাঁদেরকে বুধবার থানায় ডেকে এনে নিজেদের গ্রামে তাঁরা কীভাবে করোনা নিয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করবেন, সে বিষয়ে বিস্তারিত বুঝিয়েছেন কালচিনির বিডিও ভূষণ শেরপা, কালচিনি থানার ওসি অভিষেক ভট্টাচার্য ও কালচিনির বিএমওএইচ ডা: সুভাষ কর্মকার।
কালচিনি, মেচপাড়া, রায়মাটাং, ভাতখাওয়া, ডিমা চা বাগান সহ অন্য বাগান থেকে ২৪০ জন যুবক এই কাজে যুক্ত হওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছেন। তাঁদের প্রত্যেককেই থানার তরফে মাস্ক ও পরিচয়পত্র দেওয়া হয়েছে। করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে প্রশাসনের জারি করা লকডাউন অনেকেই মানছেন না। আবার ভিন রাজ্য থেকে বাড়ি ফেরার পর অনেকেই তথ্য গোপন করছে। ফলে স্বাস্থ্য দপ্তর ও পুলিশ ভিন রাজ্য থেকে ফেরা অনেকের কোনো তথ্য পাচ্ছে না। এই বিষয়ে স্বেচ্ছাসেবকরা প্রশাসনকে তথ্য দেবে।
আবার লকডাউন উঠলে ভিনরাজ্য থেকে প্রচুর শ্রমিক কালচিনিতে প্রবেশ করবেন। তাঁদেরও চিহ্নিত করবেন বাগানের স্বেচ্ছাসেবকরা। তবে এর জন্য পুলিশ ও প্রশাসনের তরফে স্বেচ্ছাসেবকদের কোন পারিশ্রমিক দেওয়া হবে না। কালচিনি থানার ওসি অভিষেক ভট্টাচার্য বলেন, যাঁরা একেবারেই স্বেচ্ছায় ও বিনা পারিশ্রমিকে কাজ করতে চান তাঁদের আমরা দায়িত্ব দিচ্ছি। কাজ পেয়ে খুশি স্বেচ্ছাসেবকরাও।