শামুকতলা: অন্য গ্রামের পুজা দেখতে যাওয়ার ক্ষেত্রে প্রধান অন্তরায় সেতুহীন ধারসী নদী।সেতু না থাকায় নদী পেড়িয়ে গিয়ে পুজার আনন্দে মেতে ওঠা হয়না আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) ২ ব্লকের চেপানি, কদমপুর দেবনাথ পাড়া,পশ্চিম চেপানি গ্রামের অন্তত চারশো পরিবারের। এই নিয়ে রীতিমত মন খারাপ ছিল ওই গ্রাম গুলির বাসিন্দারা।পুজার আনন্দ থেকে যাতে কেউ বঞ্চিত না হয় তার জন্য স্বেচ্ছাশ্রমে ধারসী নদীর উপর বাঁশের সাঁকো তৈরী করলেন বাসিন্দারা।বাসিন্দারা নিজেরাই টাকা দিয়ে বাঁশ, সূতলি, তার, লোহা ইত্যাদি কিনে অন্তত ২০০ মিটার লম্বা সাঁকো গড়ে ফেললেন।এই কাজে তাঁদের সঙ্গে শামিল হলেন বোলে ভোম ক্লাবের সদস্যরা।
ওই ক্লাবের সদস্যরা জানান, সেতু না থাকায় অন্তত ধারসি নদীর ওপারে থাকে অন্তত দুই হাজার বাসিন্দা নদী পেরিয়ে এপারে এসে পুজো দেখতে পারতেন না। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়ে নিজেরাই স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁশের সাঁকো তৈরী করেছি।সাঁকো তৈরির খরচ ও দিয়েছেন গ্রামবাসীরা। ষষ্ঠীর দিন সকালে সেতু নির্মানের কাজ শেষ হয়।সেতু নির্মান হওয়ায় রীতিমত খুশি গ্রামের সবাই।
এলাকার বাসিন্দারা জানান, সেতু না থাকায় গ্রামের সবারই মন খারাপ ছিল। নদীর ওপারে শামুকতলা মহাকালগুড়ি, যশোর ডাঙ্গায় বড় পুজো হয়। সেই পূজা দেখতে যাওয়ার ক্ষেত্রে অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছিলো সেতুহীন নদী। ক্লাবের ছেলেরা এবং গ্রামবাসীরা মিলে আকাম সাঁকো নির্মাণ করে দেওয়ায় জল আনন্দ অনেক বেড়ে গেল বাসিন্দাদের। ওই গ্রামের বধূ বিমলা রায়, রাধে বর্মণ, উষা দেবনাথরা জানান শুধু গ্রামের পুজো দেখেই আমাদের সন্তুষ্ট থাকতে হত। সেতু নির্মাণ হয় এখন অন্য গ্রামে গিয়ে পুজো দেখতে পারবো।
ওই এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য বিজয় দেবনাথ জানান, নদীতে সেতু না থাকায় চেপানি, কদমপুর দেবনাথ পাড়া,পশ্চিম চেপানি গ্রামের মহিলা,বৃদ্ধ,বৃদ্ধা এবং ছোটরা পুজোর আনন্দ থেকে অনেকটাই বঞ্চিত ছিল। শামুকতলা, যশোডাঙ্গা, মহাকালগুড়ি এলাকার পুজা দেখতে যেতে পারতেন না। প্রশাসন সেতুর নির্মাণ না করে দেওয়ায় গ্রামবাসীরা স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ করলেন। তাই ওই গ্রামগুলোতে পুজোর আনন্দ অনেকটাই বেড়ে গেল।