তুরস্ক: মানুষের মনুষ্যত্বের কথা উঠলে নানান উদাহরণের কাহিনী সামনে উঠে আসে। কিন্তু অবলার মনুষ্যত্বের কথা বললে, বিশ্বাস করবেন? আজ্ঞে হ্যাঁ! সম্প্রতি এমনই এক ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হতেই বহু নেটিজেনকে আবেগাপ্লুত হতে দেখা যায়। আসলে মায়ের ভালোবাসা ঠিক কেমন হয়, তা প্রমাণ করেছে এই ভিডিও। তুরস্কের একটি হাসপাতালে যখন একটি মা বিড়াল তার অসুস্থ সন্তানের চিকিৎসার জন্য ঘুরে বেড়াচ্ছিল, তখন অবাক হয়েছিলেন চিকিৎসকরা। সেই ছবি সোশ্যাল মাধ্যমে ভাইরাল হতেই আসতে শুরু করে নেটিজেনদের প্রতিক্রিয়া।
এক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে শেয়ার করা ২ মিনিটের এই ভিডিওটিতে দেখা গিয়েছে, মা বিড়ালটি তার সন্তানকে মুখে নিয়ে হাসপাতালে ঘুরছে। এই পুরো ঘটনাটির যিনি ভিডিও করছিলেন তাঁকে বলতে শোনা যায় বিড়ালটিকে পথ ছেড়ে দেওয়ার জন্য। এর পর দেখা যাচ্ছে একটি বিড়াল-ছানাকে পরীক্ষা করছেন চিকিৎসক এবং এক সেবিকা। তাতে তাঁরা বুঝতে পারেন বিড়াল-ছানাটির চোখে সংক্রমণ রয়েছে। একজন পশুচিকিৎসককে বাচ্চাটির চিকিৎসা করতে দেখা যায় এবং তার চোখে ড্রপ দিতেও দেখা যায়। চিকিৎসার পর মা এবং তার সন্তানদের একটি বক্সের মধ্যে রাখা হয়।
Mother knows best! #Cat carries one of her kittens into Turkish hospital and 'asks doctors for help' after the small animal developed an eye infection pic.twitter.com/1tQZpiadXs
— Hans Solo (@thandojo) March 30, 2021
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছে, বিড়ালটি এই দিন সকালে হাসপাতালে আসে এবং দীর্ঘক্ষণ ধরে কাঁদতে থাকে। এর থেকে বোঝা যায় যে সে সাহায্য চাইছিল। একজন স্বাস্থ্যকর্মী সংবাদমাধ্যমকে বলেন যে, এই বিড়ালটি তাঁদের পরিচিত। মাঝে মাঝে হাসপাতালে আসে। তাঁরা বিড়ালটিকে খাবার দেন। তবে তাঁরা একবারেই জানতেন না, যে বিড়ালটি তার সন্তানদের জন্ম দিয়েছে। আরও জানা গিয়েছে, এদিন সকালে যখন ক্লিনিক খোলে, তখন বিড়ালটি ছানাদের নিয়ে আসে এবং দীর্ঘক্ষণ ধরে ডাকতে থাকে। এতেই অবাক হয়ে যান স্বাস্থকর্মীরা। তখনই একজন স্বাস্থ্যকর্মী বুঝতে পারেন যে বিড়ালটির একটি বাচ্চা অসুস্থ!
এরপরই চোখের ড্রপ নিয়ে এসে বাচ্চাটিকে দেওয়া হয়। পাশাপাশি আরও একটি ছানাকে সেই ড্রপ দেওয়া হয় যাতে ভবিষ্যতে তার সংক্রমণ না হয়। চিকিৎসকরা বুঝতে পারেন, বিড়াল ছানাটির সংক্রমণের কারণেই চোখ খুলতে পারছিল না, ওষুধ দিলে সমস্যা ঠিক হয়ে যাবে। ওষুধ প্রয়োগের কিছুক্ষণ পর বিড়াল ছানাটি চোখ খুলতে সক্ষম হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।