আলিপুরদুয়ার: একদিন রোদ, আরেকদিন বৃষ্টি। আবহাওয়ায় এই খামখেয়ালিতে ভাইরাল জ্বরে ভুগছে আলিপুরদুয়ার। নির্দিষ্ট কোনও বয়সের নয়, সবার মধ্যেই দেখা যাচ্ছে এই জ্বর। জেলার হাসপাতালগুলোতে আপাতত ভাইরাল জ্বরের রোগীদের লম্বা লাইন। কোনও বাড়িতে একজনের এই জ্বর দেখা দিলে বাড়ির অন্যদেরও সেই জ্বর দেখা যাচ্ছে। জ্বরের আতঙ্ক দেখা দিলেও খুব দ্রুত এই জ্বর কমেও যাচ্ছে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা।
আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালেরই আউটডোর ও ইনডোর ঠাসা জ্বরের রোগী দিয়েই। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে প্রতিদিন আউটডোরে যে রোগীরা আসছেন তাদের মধ্যে ৬০ শতাংশ রোগীরই শরীরে জ্বর দেখা যাচ্ছে। এবিষয়ে জেলা হাসপাতালের সুপার ডাঃ পরিতোষ মণ্ডল বলেন, ‘আবহাওয়ার পরিবর্তনের জন্য প্রতিবছরই এই সময় ভাইরাল জ্বরের প্রকোপ দেখা যায়।এই সময় হাসপাতালে ভিড় বেশি থাকে।এমনিতে হাসপাতালের গড়ে ৩০০-৩৫০ রোগী থাকে।তবে বর্তমানে ৪১০ জনের মত রোগী ভর্তি রয়েছে।’ জেলা হাসপাতালের সুপার জানালেন কয়েকদিন হাসপাতালে ভর্তি থাকার পরই রোগী ঠিক হয়ে যাচ্ছে।
ফালাকাটা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সুপার ডাঃ শুভাশিস শীর জানান, এখনও জ্বরের কোনও সিরিয়াস রোগী দেখা যায়নি। তবে প্রচুর রোগী আসছে জ্বর নিয়ে। দু’দিন হাসপাতালে থেকেই তারা সুস্থ হয়ে ফিরছে।সুস্থতার রেটিং অনেক বেশি থাকলেও ভাইরাল জ্বর নিয়ে কিন্তু আতঙ্ক কমছে না সাধারণ মানুষের মধ্যে। কেননা এই সময় জেলার বিভিন্ন জায়গায় ডেঙ্গির প্রকোপও বাড়তে শুরু করেছে। স্বাভাবিকভাবেই দু’দিন জ্বর থাকলেই মানুষের মধ্যে আতঙ্ক চলে আসছে ডেঙ্গি নিয়ে।
জেলা হাসপাতালের জেনারেল ফিজিশিয়ান ডাঃ পার্থপ্রতিম দাসের কথায়,’ অনেকের এই সময় জ্বর হচ্ছে।আবার পেট খারাপের সমস্যাও দেখা যাচ্ছে। এটা নিয়ে বেশি চিন্তা করার কিছু নেই। চিকিৎসকদের পরামর্শ নেওয়া দরকার আতঙ্কিত না হয়ে।তাহলেই দ্রুত সুস্থ হওয়া যেতে পারে।’