নয়াদিল্লি : বিতর্ক ঝেড়ে ফেলতে মানকাডেডকে রানআউটের স্বীকৃতি।
বুধবার এমসিসির এহেন প্রস্তাবে রবিচন্দ্রন অশ্বীনের জয় দেখছেন অনেকেই। ব্যাটসম্যানরা কেন অনৈতিক সুবিধা নেবে? আর তা রুখতে মানকাডেড করলেই তা নিয়ে যত সমালোচনা? অশ্বীনের যে যুক্তির প্রতিফলন এমসিসিএর নতুন প্রস্তাবে।
বীরেন্দ্র শেহবাগ এদিন অশ্বীনকে অভিনন্দন জানিয়েছেন নিজের স্টাইলে। মাইক্রো-ব্লগিং সাইটে বীরু লিখেছেন, অভিনন্দন অশ্বীন। দুর্দান্ত একটা সপ্তাহ তোমার জন্য। প্রথমত, ভারতীয় টেস্ট উইকেটশিকারীর তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছো। এবার এমসিসির আইন বদল। বাটলারকে সঙ্গী করে এরকম রানআউটের পুরো স্বাধীনতা পাচ্ছ। একটা অন্তত রানআউট অবশ্যই কোরো।
পাঞ্জাব কিংসের হয়ে খেলার সময় জোস বাটলারকে মানকাডেড করেন অশ্বীন। তীব্র সমালোচনায় বিদ্ধ হন। প্রশ্ন ওঠে ক্রিকেটীয় স্পিরিট নিয়ে আসন্ন আইপিএলে বাটলার ও অশ্বীন দুজনেই আপাতত রাজস্থান শিবিরে। মজার সুরে শেহবাগ সেকথাই বলেছেন।
স্টুয়ার্ট ব্রড আবার কোনওভাবেই মানকাডেডকে ফেয়ার মানতে নারাজ। এমসিসি মানকাডেডকে আনফেয়ার প্লে (৪১ ধারা) ধারা থেকে সরিয়ে রানআউটের ধারায় (৩৮ নম্বর) আনার কথা বলেছে। যদিও ব্রডের যুক্তি, ব্যাটসম্যানকে আউট করতে স্কিল দরকার। মানকাডেডের ক্ষেত্রে কোনো স্কিল প্রয়োজন পড়ে না। তাই মানকাডেড তার কাছে আনফেয়ার প্লে ছিল, থাকবেও।
এমসিসির নয়া প্রস্তাবকে অবশ্য স্বাগত জানিয়েছেন শচীন তেন্ডুলকার। মানকাডেড প্রসঙ্গে মাস্টার ব্লাস্টার পরিষ্কার বক্তব্য, মানকাডেড নামকরণে আমার আপত্তি ছিল বরাবর। এরকম আউটকে মানকাডেড বলাতে কখনই স্বচ্ছন্দ্যবোধ করতাম না। এবার থেকে মানকাডেডকে রানআউট বলা হবে জেনে ভালো লাগছে। নিশ্চিতভাবে এটা ভালো খবর।
ক্যাচ আউটের ক্ষেত্রে নতুন ব্যাটারের স্ট্রাইক পাওয়ার নয়া প্রস্তাবেও পূর্ণ সমর্থন জানালেন। শচীনের যুক্তি, ব্যাটসম্যানকে আউট করার কৃতিত্ব বোলারের। তাই নতুন ব্যাটারকে পরের বলে আউটের সুযোগও প্রাপ্য বোলারদের। সেদিক থেকে নতুন এই প্রস্তাব একেবারেই সঠিক। এমসিসি একেবারে বাস্তবোচিত পদক্ষেপ করেছে বলেই মনে করেন শচীন।