উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী কোচবিহারের সিদ্ধেশ্বরীতে বীর চিলা রায়ের জন্মজয়ন্তী অনুষ্ঠানের মঞ্চ ছেড়ে যাওয়ার পরই সেখান থেকে পৃথক কোচবিহার রাজ্যের দাবি উঠল। শীতলকুচির বিজেপি বিধায়ক বরেন বর্মণ তাঁর বক্তব্যে আলাদা রাজ্যের দাবির পক্ষে সওয়াল করেন। সেই সময় মঞ্চে বসে ছিলেন জিসিপিএ নেতা অনন্ত রায় এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, বিজেপি ঘনিষ্ট অনন্ত মহারাজকে এবার নিজেদের শিবিরে চাইছে তৃণমূল। মহারাজ নিজেও তৃণমূল ঘনিষ্ঠ হওয়ার বার্তা দিচ্ছেন। তাই এদিন মুখ্যমন্ত্রী রাজবংশী সম্প্রদায়ের মানুষের মন জয়ে একাধিক ঘোষণা করেন মঞ্চ থেকে। তার মধ্যে চিলা রায়ের মূর্তি নির্মাণ থেকে নিয়ে গ্রেটার নেতা অনন্ত মহারাজের অনুগামীদের নিয়ে তৈরি স্বেচ্ছাসেবী দল ‘নারায়ণী সেনা’র জন্য বিশেষ কর্মসংস্থানের কথা বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নারায়ণী ব্যাটেলিয়ন তৈরি করে তাদের সিভিক ভলান্টিয়ার সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিয়োগের কথা জানান মমতা।
এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী চলে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরেই ওই মঞ্চে হাজির হন বিজেপি নেতা নিশীথ প্রামাণিক সহ বিজেপির বিধায়করা। এরপরই সকলে মহারাজকে পাশে বসিয়ে একের পর এক তোপ দাগেন মুখ্যমন্ত্রীকে। নিশীথ প্রামাণিক জানিয়ে দেন, কোচবিহারবাসী কারও কাছে ভিক্ষে চায়না। অনুদান চায় না। বরং তাঁরা সম্মান চায়। নিশীথের তোপ, ‘আমার মাটিতে, আমার কথা বলার অধিকার নেই। আমার অধিকার পাওয়ার কোনও অধিকার নেই।’ বীর চিলা রায়ের মূর্তি নির্মাণের জন্য ৫০ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ কোচবিহারে বীর চিলা রায়ের ১৫ ফুট উঁচু মূর্তি উন্মোচন হবে: মুখ্যমন্ত্রী