চ্যাংরাবান্ধা: প্রতি বছরই ভোম্বলদাদুর কাছে চকলেট এবং কেক পাওয়ার আশায় অপেক্ষা করেন কোচবিহার জেলার চ্যাংরাবান্ধা সীমান্ত সহ সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারা। এবারও তার ব্যতিক্রম হলনা। বড়দিন উপলক্ষ্যে শনিবার ভোম্বলদাদু ওরফে হিতাংশু বসু হাজির হয়েছিলেন চ্যাংরাবান্ধা-ভোটবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী বিভিন্ন এলাকায়। কচিকাঁচাদের বিভিন্ন উপহার তুলে দেওয়ার পাশাপাশি মাস্ক ও স্যানিটাইজার দেন তিনি। তবে এবারও পড়শি দেশের মানুষদের মিষ্টিমুখ করানো সম্ভব না হওয়ায় মন খারাপ তাঁর। কারণ করোনা পরিস্থিতির কারণে দীর্ঘদিন ধরেই কার্যত বন্ধ হয়ে রয়েছে সীমান্তের ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট। আগে বড়দিনে এই চেকপোস্ট দিয়ে যাতায়াতকারী দুই দেশের মানুষকে মিষ্টিমুখ করাতে হাজির হলেও এবার সেটা সম্ভব না হওয়ায় হতাশ তিনি।
চ্যাংরাবান্ধা গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ পাড়া এলাকার বাসিন্দা হিতাংশু বসু। তবে এলাকার বেশিরভাগ মানুষের কাছেই তিনি ভোম্বলদাদু কিংবা ভোম্বলকাকু নামে পরিচিত। প্রতি বছরই তিনি বড়দিন ধুমধাম করে পালন করে আসছেন সীমান্তের এই এলাকায়। নিজের বাড়িকেও যীশুখ্রীষ্টের জন্মদিন উপলক্ষ্যে আলোয় সাজিয়ে তোলেন। বড়দিনে চ্যাংরাবান্ধা বাজার, বাসস্ট্যান্ড, দক্ষিণ পাড়া, পশ্চিমপাড়া, ভোটবাড়ি সহ বিভিন্ন এলকা ঘুরে শিশু সহ বিভিন্ন মানুষের হাতে বড়দিনের উপহার তুলে দেন। এদিন একদল খুদেদের সঙ্গে নিয়ে সীমান্তের বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে বেরালেন তিনি। দীর্ঘ ৩৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি এই এলাকায় যেভাবে বড়দিন পালন করে চলেছেন সেটা আর অন্য কাউকে করতে চোখে পড়ে না বলে দাবি এলাকাবাসীর। হিতাংশুবাবু অবশ্য জানান, সর্বত্র শান্তির বার্তা ছড়িয়ে দিতেই তিনি প্রতি বছর এই দিনে সান্তাক্লজ সেজে এলাকা ঘুরে বেরান। এরমধ্যে আলাদা একটা অনুভূতি রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
লাইক করুন আমাদের ফেইসবুক পেজ : https://www.facebook.com/uttarbangasambadofficial