ডিজিটাল ডেস্ক : মা হওয়ার পর প্রত্যেক নারীর শরীরেই যে পরিবর্তন আসে এ কথা আমাদের সবারই জানা। তবে, শারীরিক এই পরিবর্তনের ভেতর দিয়ে যেতে হয় না কোনো পুরুষ কিংবা বাবাকে। তাই অনেকেই মনে করেন, সন্তানের যত্ন নেওয়ার ক্ষেত্রে বাবারা মায়েদের মতো দক্ষ হয়ে উঠতে পারেননা।
১) বাবারা যে ধরনের জৈবিক পরিবর্তনগুলোর মধ্যে দিয়ে যান, তা মায়েদের শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তনের মতো সরাসরি দেখা না গেলেও বিজ্ঞানীরা বলছেন, বাবা হওয়ার প্রক্রিয়ায় পুরুষদের মাঝেও আসে পরিবর্তন।
২) আমেরিকান নৃবিজ্ঞানী লি গেটলার ফিলিপাইনে ২১ থেকে ২৬ বছর বয়সী ৬২৪ জন অবিবাহিত নিঃসন্তান পুরুষের ওপর গবেষণা চালিয়েছেন। ২০১১ সালে প্রকাশিত গেটলারের দীর্ঘ ৫ বছরের সেই গবেষণায় দেখা যায়, স্বাভাবিক মাত্রার টেস্টোস্টেরন থাকা ওই পুরুষদের মধ্যে ৪৬৫ জনই গবেষণার পাঁচ বছর সময়কালে বাবা হয়েছিলেন; এবং এর সঙ্গে সঙ্গে তাদের টেস্টোস্টেরন নিঃসরণে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আসে। অবিবাহিত বা বিবাহিতদের তুলনায় যারা বাবা হয়েছিলেন তাদের নিঃসরণ গড়ে প্রায় ৩৪ শতাংশ কমে যায়।
৩) মস্তিষ্কের সক্রিয়তার ব্যাপারে মা এবং বাবার মধ্যে পার্থক্য থাকলেও গবেষকরা বলছেন, ‘ভিন্ন হলেও সন্তানের সঙ্গে বন্ধনের ক্ষেত্রে এই ব্যাপারগুলো সমানভাবেই শক্তিশালী’। এটি একটি সামাজিক বদ্ধমূল ধারণা যে, বাচ্চারা কষ্ট পেলে বা আঘাত পেলে সবার আগে কেবল মায়ের কাছেই ছুটে যায় এবং তাকে জড়িয়ে ধরে। কিন্তু গবেষণা থেকে জানা যায়, কিছু নির্দিষ্ট ‘প্যারেন্টিং আচরণের’ পর মা ও বাবাদের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের নিউরোকেমিক্যাল নিঃসৃত হয়, যা আমাদের সমাজের বদ্ধমূল ধারণাগুলো থেকে ভিন্ন তথ্য উপস্থাপন করে।