ডিজিটাল ডেস্ক : রাজস্থানের উদয়পুরে (Udaipur Case) ঘটে যাওয়া ভয়ঙ্কর হত্যাকাণ্ড নিয়ে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে গোটা দেশ জুড়ে। রাজস্থান পুলিশের পাশাপাশি উদয়পুর হত্যাকান্ড নিয়ে তদন্ত চালাচ্ছে এনআইএ। এবার একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সামনে আসছে কানহাইয়ালালের হত্যার ঘটনায়। যে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাঁদের একজন ২০১৪ সালে করাচিতে গিয়েছিল এবং সে দাওয়াত-ই- ইসলামীর সঙ্গে যুক্ত ছিল বলে জানিয়েছেন রাজস্থান পুলিশের ডিজিপি। হত্যাকারীদের সঙ্গে আইসিস যোগেরও সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। পাশাপাশি জানা গিয়েছে হত্যাকারীরা খুনের আগে এবং পরে পাকিস্তানের এক অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। পাকিস্তানের অন্তত আটটি মোবাইল নাম্বারের সঙ্গে তাঁরা যোগাযোগ রাখত। তদন্তকারীরা আরও জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের মধ্যে মহম্মদ রিয়াজ আত্তারি উদয়পুরের আল-সুফার প্রধান। এছাড়াও দ্বিতীয় ব্যক্তি মহম্মদ গাউসের সঙ্গে বিদ্বেষমূলক প্রচার চালাতো সে। আরও জানা যাচ্ছে, গাউস মহম্মদ ২০১৩ এবং২০১৯ সালে সৌদি আরব যায়। তবে সেখানে সে অস্ত্র প্রশিক্ষণ কিংবা ধর্মীয় কোনো প্রশিক্ষণ নিয়েছিল কিনা তা নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না। নিয়েছিল। যদিও এর কোন সাক্ষী এখনো পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। তবে জানা গিয়েছে, কানাইয়া লাল কে নৃশংসভাবে হত্যা করলেও অপরাধীরা বিন্দুমাত্র অনুতপ্ত নয়। তবে তদন্তকারীরা এই ঘটনার পেছনে পাকিস্তানি যোগ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে। আপাতত এই ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক চাপানউতোর।
আরও পড়ুন : উদয়পুরের পর মহারাষ্ট্রেও মুন্ডচ্ছেদের ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি আরএসএস মুখপত্রের