রায়গঞ্জ: দিদিকে মারধর করায় জামাইবাবুকে পুলিশের হাতে তুলে দিলেন ছয় শ্যালক। বাঁচতে এক শ্যালককে কামড়ে দিলেও সুবিধে করতে পারেননি অভিযুক্ত জামাইবাবু। উত্তর দিনাজপুরের ঘটনা। শুক্রবার সন্ধ্যায় শ্রীমন্তপুরের বাসিন্দা ওমেসা বিবি ভাত বাড়তে দেরি করায় তাঁকে মারধর করেন স্বামী রফিকুল ইসলাম। মারধরের জেরে ওই গৃহবধূর চোখে আঘাত লাগে। চিকিৎসার কারণে তাঁকে রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে রেফার করা হয়।
এদিকে, দিদির এই অবস্থার খবর শুনে ইটাহারের কাপাসিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের নমনিয়া থেকে রওনা দেন ওই গৃহবধূর ছয় ভাই। হাতের কাছে পেয়ে অভিযুক্ত জামাইবাবুকে বেধড়ক মারধর করে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রাখেন। পরে অভিযুক্তকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। ইটাহার থানার এক পুলিশ আধিকারিক জানান, অভিযুক্ত রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অভিযুক্ত রফিকুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযুক্ত স্বামী রফিকুল স্ত্রীকে মারধর করার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। জখম গৃহবধূর ভাই গোলাম ইয়াজদানির অভিযোগ, ধারাল চাবি ঢুকিয়ে বোনের ডান চোখ নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন : চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞকে খুনের হুমকি, চাঞ্চল্য রায়গঞ্জে