রায়গঞ্জ: তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত রায়গঞ্জ পুরসভার বিরুদ্ধে লাগাতার বঞ্চনার অভিযোগ। শনিবার এরই প্রতিবাদে পুরসভার গেট আটকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কাজ বন্ধ করে দিলেন কর্মীরা। তৃণমূল প্রভাবিত শ্রমিক ইউনিয়নের স্থায়ী ও অস্থায়ী কর্মচারীরা প্রধানত ১২ দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য কাজ বন্ধ করে দেন। শ্রমিক সংগঠনের সদস্যদের অভিযোগ, অনেক প্রতিশ্রুতি দিলেও গত পাঁচ বছরে এই বোর্ড তাঁদের কোনও দাবি পূরণ করেনি। শুধু প্রতিশ্রুতি দিয়ে গিয়েছে। স্থায়ীকরণ ও বেতন বৃদ্ধির লোভ দেখিয়ে শুধু তাঁদের কাছ থেকে পরিষেবা নিয়ে গিয়েছে বোর্ড। আগামী ৫ জুন বোর্ডের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। আগামী ৩০ মে বোর্ডের শেষ বৈঠকে অস্থায়ী কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধি ও স্থায়ীকরণের বিষয়টি আলোচনার মধ্যে রাখা হয়নি বলে অভিযোগ। এদিন সকাল থেকে সমস্ত কাজকর্ম বন্ধ করে দেন কয়েকশো কর্মী। পুরসভার গেট আটকে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। এদিন থেকে প্রায় প্রতিটি ওয়ার্ডে সমস্ত পরিষেবা দেওয়া বন্ধ করে দেন কর্মীরা।
পুর কর্মচারী ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক সুব্রত চক্রবর্তীর অভিযোগ, এই পুরবোর্ড পুরোপুরিভাবে ব্যর্থ। কোনও দাবি পূরণ করেনি। রাজ্য কমিটির নেতৃত্বের উপস্থিতিতে অস্থায়ী কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধি ও স্থায়ীকরণের বিষয়টি শীঘ্রই পূরণ করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিলেও কোনও দাবি পূরণ করা হয়নি। প্রমোশনের ক্ষেত্রে দুর্নীতি হয়েছে। কর্মচারীদের প্রায় আড়াই কোটি টাকা বকেয়া রেখে এই বোর্ড চলে যাচ্ছে। সুব্রত বসাক, শম্ভু ঘোষ সহ অন্যান্য নেতৃত্বের অভিযোগ, তাঁরা শহরের মানুষকে পরিষেবা দিচ্ছেন, অথচ পাঁচ বছরে বেড়েছে মাত্র ৫০ টাকা। তাই বাধ্য হয়ে এই বঞ্চনার প্রতিবাদে তাঁরা আন্দোলনে নেমেছেন। আজ থেকে লাগাতার কর্মবিরতির ডাক দেওয়া হয়েছে।
এই বিক্ষোভ ঘিরে যাতে কোনওরকম উত্তেজনা পরিস্থিতি তৈরি না হয় তার জন্যে পুরসভা চত্বরে পুলিশবাহিনী মোতায়েন ছিল। যদিও সমস্যার সমাধানে পুর কর্তৃপক্ষ বৈঠকে বসেছে। রায়গঞ্জ পুরসভার চেয়ারম্যান সন্দীপ বিশ্বাস বলেন, ‘সমাধানসূত্র বের হয়েছে। যা যা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত হয়েছিল সেটাই করা হত। ওরা একটু দাদাগিরি দেখাতে চেয়েছিল। রায়গঞ্জ পুরবোর্ড দাদাগিরি সহ্য করে না। কারণ আমরা মানুষের রায়ে নির্বাচিত।’
আরও পড়ুন : গম্ভীরা লোকসংস্কৃতিকে চাঙ্গা করতে বিশেষ উদ্যোগ শিল্পীদের